3:42 pm , July 19, 2021
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ করোনা মহামারীতে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাবার মধ্যেও সারা দেশ থেকে বানের ¯্রােতের মত মানুষের ঢল এখন দক্ষিণাঞ্চলমুখী। সড়ক ও নৌ পথের মত এবার আকাশ পথে দক্ষিণাঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের আগমন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মহামারী আর মৃত্যু ভয়কে দুরে ঠেলে সবাই ছুটে আসছেন নাড়ীর টানে চির চেনা মাটির কাছে। শুধু নৌ-পথেই রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন অন্তত ২৫টি বেসরকারী নৌযানে লক্ষাধীক মানুষ ঘরে ফিরছেন। সরকারী একমাত্র নৌযানেও হাজার দুয়েক যাত্রী আসছেন ঢাকা ও চাঁদপুর থেকে। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও লক্ষ্মীপুর-ভোলা ছাড়াও চাঁদপুর হয়েও বিপুল সংখ্যক মানুষ বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে ফিরছেন।
এর বাইরে সড়ক পথে ঢাকা ছাড়াও উত্তর বঙ্গ এবং দক্ষিণÑপশ্চিমাঞ্চল থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরমুখী। রাজধানীর সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণÑপশ্চিমাঞ্চলের সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি সেক্টর হয়েও বিপুল সংখ্যক মানুষ এ অঞ্চলের ২১ জেলায় পৌছছেন। একমাত্র আকাশ পথ ছাড়া কোথাও মহামারীর আতংক চোখে পড়ছেনা।
তবে অবিশ^াস্য হলেও সত্যি যে গত কয়েকদিন ধরে সরকারী-বেসরকারী ১০টি ফ্লাইটে প্রায় হাজার খানেক যাত্রী বরিশালে বিমান বন্দরে অবতরন করছে। অথচ এতদিন ‘বরিশালের মানুষ উড়জাহাজে ওঠে না’ বলে অপবাদ দেয়া হত। বেসরকারী ‘ইউএস বাংলা’ ও ‘নভো এয়ার’ বরিশাল সেক্টরে ৪টি করে এবং ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’কোনদিন দুটি আবার কোন দিন ১টি করে ফ্লাইট পরিচালন করছে। এর পরেও বেসরকারী উড়ানে ৩ হাজার ৪শ টাকার টিকেট এখন ৯ হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। বিমান অবশ্য সর্বোচ্চ ভাড়া আদায় করছে ৫ হাজার ৪শ টাকা। উপরন্তু বরিশালÑঢাকা রুটে বিমান ২ হাজার ৭শ টাকায়ও যাত্রী পরিবহন করছে।
ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার ও ঈদের পরদিন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক ফ্লইট ছাড়াও সড়ক ও নৌ পথে লক্ষ লক্ষ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে আসলেও ২৩ জুলাই থেকে সব যোগাযোগই বন্ধ হচ্ছে। ২৩ জুলাই থেকে ঈদে ঘরে ফেরা লক্ষ লক্ষ মানুষ কবে কিভাবে ফিরবেন তা বলতে পারছেন না কেউ। আকাশ পথে ১০টি করে ফ্লাইট পরিচালনাও ২২ জুলাই সন্ধ্যার পরে বন্ধ হচ্ছে।