ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী - ajkerparibartan.com
ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

3:21 pm , July 17, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা সংক্রমনের ঝুকির জেনেও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরবাসী। লকডাউন তুলে নেয়ার পর দিন থেকেই গরুর হাট থেকে পোষাক বাজারে ক্রেতাদের ভীর বেড়েছে। এ সকল জায়গায় এখন স্বাস্থবিধি মান্য করা হয়ে উঠেছে হাস্যকর বিষয়। ক্রেতা বিক্রেতার ভীরে এখন করোনার স্থান নেই বলে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছে নগরীর সচেতন বাসিন্দারা। তাদের কথায় ক্ষোভের সাথে উঠে এসছে ঈদ পরবর্তি সময়ে করোনার ব্যাপক সংক্রমনের আশংকার কথা। নগরীর প্রত্যেকটি স্থানে এখন লোক সমাগম ব্যাপক হারে বেড়েছে। ঈদের আগে নগরীর ব্যবসায়ীরা যেমন ব্যস্ত হয়েছে বেচাকেনায়, তেমনি ক্রেতারা মেতে উঠেছে কেনাকাটায়। তবে এই দুই পক্ষের কেউই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। নূন্যতম মাস্ক পরিধান করতে দেখা যাচ্ছে না অনেককেই। অপরদিকে সরকারের শিথিলতায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান কমে আসায় এমন দুরাবস্থা বলে জানিয়েছেন অনেকে। গতকাল নগরীর প্রানকেন্দ্র সদররোড, চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্রি, গীর্জা মহল্লায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর। প্রত্যেকটি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা সমাগমে ছিলনা পা ফেলার স্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র স্বাস্থবিধি মেনে চলার সতর্কীকরন বার্তা ছাড়া আর কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তবে সবচাইতে বেশি অসেচতন হতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। কিছু কিছু ক্রেতাদের দেখা গেছে স্ব-পরিবারে কেনা কাটা করতে। তাদের মধ্যে ছিল শিশু সন্তান থেকে শুরু করে পরিবারের বয়োজেষ্ঠ সদস্যরাও। সকাল থেকে বিপনি বিতানের এলাকাগুলোতে মানুষের সমাগমে ছিল অসহনীয় যানযট।
চকবজার এলাকার এক প্রতিষ্ঠানের বিক্রেতার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, লকডাউনের কারনে গত ১৪/১৫ দিন প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেননি। হয়নি কোন বেচাকেনা। তাই এখন স্বাস্থ্যবিধি মানিয়ে ঈদের বেচাকেনা করছেন তারা। প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধান, জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে ক্রেতাদের দোকানে প্রবেশ করানো সহ সব ধরনের নিয়ম মেনে তারা বেচাকেনা করছেন। তারা মানলেও অনেক ক্ষেত্রেই ক্রেতারা এসব বিষয় মানতে চাচ্ছেন না বলে জানান এই বিক্রেতা। অনেককেই মানানো যাচ্ছে না জোর করেও। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা খরচ তোলা, কর্মচরিদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য এখন স্বাস্থবিধির কথা ভুলে গিয়ে অসচেতন ক্রেতাদের সাথে তাল মেলাতে হচ্ছে তাদের।
এক ক্রেতার সাথে আলাপে তিনি বলেন, পরিবারের প্রযোজনে কেনাকাটা করতে এসছেন। মাস্ক পড়েছেন তবে অত্যাধিক ভীরের কারনে সামাজিক দুরত্ব আর বজায় রাখতে পারছেন নাহ। দেশর বর্তমান করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা জেনেও কেন এমন কেনাকাটায় মেতেছেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেননি ওই ক্রেতা।
এ বিষয়ে সচেতন মহলের মতে, লকডাউন তুলে নেয়ার পর থেকে আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস ছুটিতে রয়েছে বলে জনান। তা না হলে মানুষ এই পরিস্থিতিতে কেনাকাটা করতে চকবাজারে ভীর জমাতে পারতো নাহ। ক্ষোভের সাথে তারা জানায়, নগরবাসীর এই অসচেতনতার ফল খুব শিঘ্রই ভয়ংকর আকারে নগরবাসীর ওপরই বর্তাবে। খুদ্র দ্রুত জোলা প্রসাশনের ভ্রাম্যমান আদালতের অধিকতর অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জেল জরিমানা শুরু করা হলে ক্রেতাদের এই ভীর ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি যারা মানছে না তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং এই অভিযার আরও বাড়ানো হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT