3:06 pm , July 4, 2021

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ উজিরপুরের জামবাড়ি গ্রামের বাসুদেব চক্রবর্তী হত্যা মামলার আসামী মিতুকে রিমান্ডে নিয়ে শারিরীক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে আদালতের নির্দেশে হাসপাতাল থেকে মেডিকেল পরীক্ষা সহ পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ইতোমধ্যে রিপোর্ট আাদালতে পাঠিয়েছেন। অপরদিকে ডিআইজি এসএম অক্তারুজ্জামানের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করছেন এসপি শোয়েবুর রহমান। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৬ জুন বাসুদেব চক্রবর্তীর লাশ মিতু অধিকারীর বাড়ী সংলগ্ন ডোবা থেকে উদ্ধার হয়। পরে ২৭ জুন নিহতের ভাই উজিরপুর থানায় মামলা করেন। গত ২৮ জুন মিতুকে গ্রেফতার করে। গত ২৯ জুন আদালতে হাজির করে পুলিশ দুদিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে মিতু অধিকারী আদালতের সামনে পুলিশ হেফাজতে তার ওপর শারিরীক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মঈনুল লাঠি দিয়ে পেটানোয় মিতু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফেরার পরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখতে পায়। এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মিতুর শরীরের বিভিন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করে বলেও সে আদালতে অভিযোগ করে।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইন ২০১৩ এর ৪(১) (খ) ধার অনুযায়ী মিতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার শরীরে জখম ও নির্যাতনের চিহৃসহ সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবদেন দাখিলের জন্য শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিতুকে ভর্তি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেছে। কর্তৃপক্ষ শণিবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে করোনা কালীন সময়ে রোববার জুডিসিয়ল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালত না বসায় কোন আদেশ হয়নি বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে মিতু অধিকারীকে হাসপাতাল থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ডিআইজি’র গঠন করা তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে বলেও জানা গেছে।