1:00 am , June 20, 2021
চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাশন সদর থেকে ২কিমি পশ্চিমে কলেজ সড়কের তালুকদার বাজারের দোকানভিটির ৮০ শতাংশ জমি জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় মেম্বার জামাল চৌকিদারসহ ৫জনের একটি দুর্বৃত্তচক্র। জমির মালিক নিরীহ খালিদ আল হেলাল এবং আবদুল মাজেদের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব না থাকায় দুর্বৃত্তরা এই জমি দখল করতে নানান কৌশলে তাদের জিম্মি করে শেষ সম্বল হাতিয়ে নিতে হুমকী ধামকীসহ নানান অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। নিরীহ জমির মালিক দুই ভাই খালিদ ও মাজেদ দুর্বৃত্তচক্রের কবল থেকে তাদের সম্পদ ও জীবন রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির ক্ষমতাকালে কবির হোসেন ফরাজি এবং নিরব হোসেন এখানে তান্ডব চালিয়েছিল। এখন তারাই ক্ষমতার মোড়কে নিজেদের ভিন্নরুপে জোটবদ্ধ হয়ে তাদের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ জবর দখল করছে।
লিখিত অভিযোগে খালিদ আল হেলাল ও আবদুল মাজেদ জানান, কুলসুম বাগ মৌজার এসএ ১৯৮ এবং দিয়ারা ৩১৯ খতিয়ানের ৮০ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন তাদের বাবা আবদুল জলিল মোল্লা। মৃত্যুর আগে তিনি এই জমি স্ত্রী ফজিলেতুন নেছাকে দলিল দেন। ফজিলেতুন নেছা জীবদ্দশায় ওই সম্পত্তি দুই ছেলে খালিদ আল হেলাল ও আবদুল মাজেদকে দলিল দেন। দলিল ও পৈত্রিক সূত্রে এই সম্পত্তির দুই মালিক এখন দুই ভাই খালিদ আল হেলাল ও আবদুল মাজেদ। নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির এই দুইভাইয়ের ৮০ শতাংশ সম্পত্তির অবস্থান চরফ্যাশন সদর থেকে ২কিমি পশ্চিমে কলেজ রোডের উপর প্রতিষ্ঠিত তালুকদার বাজারে। বাজারের সম্পত্তি হিসেবে এখানে প্রতি শতাংশ জমির মূল্য ১০ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা টাকা পর্যন্ত চলমান আছে । মূল্য বিবেচনায় সমূদয় সম্পদের বাজার দর আছে ১০ কোটি টাকার বেশী। মূল্যবান এই সম্পদের উপর নজর পড়েছে এক সময়ের বিএনপির ক্যাডারখ্যাত কবির হোসেন ফরাজি ও নিরব হোসেনসহ একটি দুর্বৃত্তচক্রের। সময়ের ব্যবধানে এই দুর্বৃত্তদের জোটবদ্ধ করেছে স্থানীয় মেম্বার জামাল উদ্দিন চৌকিদার। ক্ষমতাবলয়ের লোক হিসেবে পরিচিত মেম্বার জামাল উদ্দিন চৌকিদার স্থানীয় কবির হোসেন ফরাজী, নিরব, আবদুর রব এবং ইমাম হোসেন রুপসাকে নিয়ে গড়ে তোলা দুর্বৃত্তচক্রকে নিয়ে এই জমি জবর দখলে উঠে পড়ে নেমেছে। দুর্বৃত্তরা দুইভাই হেলাল ও মাজেদকে হামলা মামলার হুমকী দিয়ে ইতিমধ্যে কিছু জমি দখল করে প্রাচীর তুলেছে। দখলকৃত ওই জমি ফেরৎ দেয়ার কথা বলে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবী করে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাকী ৩ লাখ টাকা না দিলে বাকী জমিও একই ভাবে দখল করে নেয়ার হুমকী দিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ও আতংকিত হেলাল ও মাজেদ সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। জানাগেছে, সংসদ সদস্য বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জামাল মেম্বার বলেন, আমরা মাজেদ ও খালিদের জমির সাথে ৮ শতাংশ জমি খাস থাকায় বাজার ব্যবসায়ীদের শৌচাগার নির্মানের জন্য ৫০ পয়েন্ট জমি নিয়েছি। ২ লাখ টাকা চাদা বিষয়ে অস্বীকার করেছেন।