বাধঁ নির্মাণ করে কৃষি কাজে বাঁধা ॥ মামলা দায়ের বাধঁ নির্মাণ করে কৃষি কাজে বাঁধা ॥ মামলা দায়ের - ajkerparibartan.com
বাধঁ নির্মাণ করে কৃষি কাজে বাঁধা ॥ মামলা দায়ের

4:07 pm , May 31, 2021

সাঈদ পান্থ ॥ উজিরপুর উপজেলার জলার গুঠিয়া ইউনিয়নে কৃষি জমির মাঝে বাঁধ দিয়ে কৃষি কাজে বাধাঁ দেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি এক অসহায় পরিবারের ১একর ২৩ শতাংশ জমি ভুয়া দলিল দিয়ে জমি দখলেও পায়তারা চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্টো জমি দখল ও বাঁধ নির্মানে বাধাঁ দিলে এবং প্রশাসনকে জানালে ওই পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকী দেয় সেখানকার জাফর ফকির। ইউনিয়নের দোসতিনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জমি দখলে নির্মানাধিন বাঁধ তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দোসতিনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক ছিদ্দিক জানান, আব্দুল আলিম এর জমিতে বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। অবৈধ বাধ অপসারন করা না হলে আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি সাধান হবে। এমনকি নৌকা দিয়ে ধানের চারা (বিজ) আনা নেয়া করাও যাবে না। পাশাপাশি কৃষি জমির পানি নিষ্কাসন বন্ধ হয়ে যাবে। তৈরি হতে পারে জলাবদ্ধতার। যার ফলে এখানকার কৃষকদের দুর্ভোগে পরতে হবে। ওই জমির মালিক ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভোগদখলীয় ১ একর ২৩ শতাংশ জমি আমরা চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ করে ভূমিদস্যু জাফর ফকির ভূয়া দলিল দিয়ে ওই জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তার বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ওই জমিতে অবৈধ ভাবে বাধ নির্মাণ করে খাল ভরাট করেন। এ বিষয় উজিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. দোলোয়ার হোসেন বলেন, আব্দুল আলিমের জমি নিয়ে ঝামেলা আছে সেটা শুনেছি। তবে কোন পক্ষ কোন অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেনি। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযুক্ত জাফর ফকির বলেন, এই জমি আমার রেকডিও জমি। এ নিয়ে কয়েকদফা মিটিং সিটিংও হয়েছে। কোন সমাধানে আসেনি। এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জয়দেব চক্রবর্তী অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT