ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্টের ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্টের ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত - ajkerparibartan.com
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্টের ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত

3:11 pm , May 23, 2021

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পূর্বÑমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নি¤œচাপের সম্ভাব্য ঝুকি মোকাবোলয় সমগ্র উপকুল যুড়ে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন। উপকুলের ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় রেড ক্রিসেন্ট-এর ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী-সিপিপি’র প্রায় ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভব স্বল্পতম সময়ে উপকুলের ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে এসব স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলে সিপিপি’র দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া বিভাগের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী সরকারী নির্দেশনার আলোকে দ্রুততম সময়ে উপকুলে ঝড়ের সতর্কতা পৌছে দিতেও প্রস্তত রয়েছে স্বেচ্ছাসেবকগন। গত বছর ২১ মে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বরিশাল সহ দক্ষিন উপকুলে প্রবল বর্ষন আর জলোচ্ছাস নিয়ে আঘাত হেনেছিল। তার ঠিক ৬ মাসে আগে ২০১৯-এর নভেম্বর আরেক ঘূর্ণিঝড়‘বুলবুল’ও একইভাবে দক্ষিনাঞ্চলে আঘাত হানে।
এদিকে বরিশাল সহ দক্ষিন উপকুলের সবগুলো জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিদ্যুৎ, টেলিফোন সহ অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতগুলো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখার নির্র্দেশনা প্রদান করা হয়েছে প্রশাসন থেকে।
আবহাওয়া বিভাগের দুপুরের বুলেটিতে নি¤œচাপটি রোববার দুপুর ১২ টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থানের কথা জানিয়ে ‘১ নং দুরবর্তী সতর্ক সংকেত’ বহাল রাখতে বলা হলেও বরিশাল সহ দেশের কোন অভ্যন্তরীন নদী বন্দরকে সংকেতের আওতায় আনা হয়নি। করোনা সংকটের কারনে যেহেতু দেশের সব অভ্যন্তরীন যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে, তাই বিআইডব্লিউটিএ সম্ভাব্য দূর্যোগ নিয়ে খুব বেশী উদ্বিগ্ন না হলেও যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত বলে জানান হয়েছে।
তবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের ঝুকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বন্দরের সবগুলো নৌযান সঠিক অবস্থানে বার্র্থিং করা সহ এ্যাংকরেজেরও রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নজিরবিহীন অব্যাহত তাপ প্রবাহের পরে সম্ভাব্য নিম্নচাপটি স্বস্তির বৃষ্টি বয়ে আনবে বলে সবই আশা করলেও এঝড় কতট ক্ষতের সৃষ্টি করবে তা নিয়েও শংকিত উপকুলবাসী। তবে আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে নি¤œচাপটির ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বতাসের একটানা গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার বলে জানিয়ে তা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃৃদ্ধি পাবার কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে সম্ভাব্য এ ঝড়টির তীব্রতা বুলবুল বা আম্পানের চেয়ে অর্ধেকেওর কম বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকগন।
গত বছর ২১ মে আম্পান আঘাত হানার আগে পরের দিন সহ বরিশালে প্রায় পৌনে ৩শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাসের ২৩ দিনে এ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমান মাত্র ২১ মিলিমিটার। আর তাপমাত্রার পারদ এখনো প্রায় ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে পীঠে। লাগাতার আনাবৃৃষ্টির সাথে দুঃসহ তাপ প্রবাহে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন এখন বিপন্ন। সে নিরিখে মাঝারী মাত্রার কোন ঘূর্ণিঝড় যদি বৃষ্টি মাথায় করে দক্ষিনাঞ্চলে হাজির হয়, তাতেও স্বস্তি খুজবে এ অঞ্চলের মানুষ।
তবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই বৃষ্টি মাথায় করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ উপকুলে পৌছে যাবার কথা থাকলেও এবার তা কতটা বিলম্বিত হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ পূর্বÑমধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটির প্রভাবে মৌসুমী বায়ুর আগমন কিছুটা বিলম্বিত হতেই পারে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT