লকডাউনেও ঈদ যাত্রা : দূর দূরান্তে যাচ্ছে মানুষ : জেলা সীমান্তে মানুষের ভিড় লকডাউনেও ঈদ যাত্রা : দূর দূরান্তে যাচ্ছে মানুষ : জেলা সীমান্তে মানুষের ভিড় - ajkerparibartan.com
লকডাউনেও ঈদ যাত্রা : দূর দূরান্তে যাচ্ছে মানুষ : জেলা সীমান্তে মানুষের ভিড়

2:37 pm , May 7, 2021

সাঈদ পান্থ ॥ করোনা মহামারির এই সময়ে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ঈদ যাত্রা। আর এই সুযোগ গ্রহন করেছে বাস মালিক সমিতি। তারা সরকারি নির্দেশনা জেলার মধ্যে বাস সার্ভিসের নামে জেলা সিমান্তে পৌছে দিচ্ছে যাত্রীদের। আর অন্য প্রান্ত থেকে অপর জেলার বাস মালিকরা সে যাত্রী পরিবহন করছে। এছাড়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাজধানী থেকে বাস ছাড়াও নানা উপায়ে বরিশালে আসছে মানুষের ঢল। এতে খরচ ও ভোগান্তি দুটোই বাড়ছে যাত্রীদের। তবে জেলা সীমানা পর্যন্ত চলাচল করছে সিটি বাস। প্রতিটি জেলার সীমানা পর্যন্ত ওই জেলার বাসও চলছে। অন্যবারের ঈদের চেয়ে এবার আগেভাগেই বরিশালে আসছে মানুষ। জানা গেছে, এবার ঘরে ফিরতে যানবাহন পাল্টাতে হবে বারবার। বাসের বদলে বিভিন্ন ধরনের পরিবহনে যেতে হতে পারে। এ কারণে সময় ও টাকা বেশি খরচ হবে। পথের ক্লান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একাধিক যাত্রী বলেন, ঝুঁকি তো থাকবেই, তার পরও ঈদ যাত্রা আনন্দের। এদিকে অর্থিকভাবে সচ্ছল মানুষ ঢাকা ছাড়ছে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে, অন্যরা যাচ্ছে জেলায় জেলায় বাস পাল্টিয়ে। আবার নি¤œ আয়ের মানুষ ঢাকা ছাড়ার পরই ব্যবহার করছে নছিমন, করিমনসহ স্থানীয় পরিবহন। সব মিলিয়ে দূরপাল্লার বাস-ট্রেন বন্ধ রেখেও মানুষের গ্রামে ফেরা কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। নানা কায়দায় ছুটছে মানুষ। গত ঈদের পর ব্যাপক হারে বেড়েছিল করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। এ কারণে এবারের ঈদ নিয়ে সংক্রমণভীতি থেকেই যাচ্ছে। এদিকে ঈদ যাত্রা রোধে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে চলমান বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। এমনকি ঈদের ছুটি তিন দিন নির্ধারণ করে দিয়ে সব চাকরিজীবীকে কর্ম এলাকায় থাকার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর পরও গ্রাম অভিমুখে মানুষের ঈদ যাত্রায় রাশ যদি টানা না যায়, তাহলে করোনা সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ঈদ ঘিরে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। তাই সরকারকে ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাচ্ছেন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা আশরাফুজ্জামান। সঙ্গে স্ত্রী ও শিশু পুত্র। তিনি বলেন, বাড়িতে মা রয়েছে। তার সাথে ঈদ করবো না তা কি করে হয়। তিনি জানান, কয়েকবার বাস পরিবর্তন করতে হয়েছে। সাভারের বাস যায় মানিকগঞ্জ সীমানা পর্যন্ত, সেখান থেকে মানিকগঞ্জের বাসে পাটুরিয়া, ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে রাজবাড়ীর বাসে ফরিদপুরের সীমানা সাইনবোর্ড পর্যন্ত, ফরিদপুর থেকে বরিশাল। এখন বরিশাল থেকেও লেবুখালী ফেরিঘাট যেতে হবে। আর ফেরি পাড় হয়ে পটুয়ালীর বাস ধরতে হবে। আগে থেকেই খবর নিয়ে সেই ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার। একই সঙ্গে বীরদর্পে চলছে স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত যান। সরকারের অনুমোদনহীন এসব যান যাত্রী বহন করছে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে ঘুষের চুক্তিতে। স্থানীয়ভাবে ওই সব পরিবহন নছিমন, করিমন, আলম সাধুসহ নানা নামে পরিচিত। বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন সিপন জানান, আমরা জেলার মধ্যে বাস সার্ভিস দিচ্ছি। কিন্তু যাত্রীররা জেলা পাড় হচ্ছে। তারা যাচ্ছেই। তাদের আটকানো যাচ্ছে না। বরং যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেটা মানুষকে আরো দুর্ভোগে ফেলছে। মানুষ এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতে অর্থ ব্যায় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভোগান্তি। তার চেয়ে আগের মত স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস সার্ভিস দিলে ভালো হতে। অর্ধে যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতো।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT