শেবামেক’র কর্মচারী নাদিরুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর অঢেল সম্পত্তির মালিক শেবামেক’র কর্মচারী নাদিরুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর অঢেল সম্পত্তির মালিক - ajkerparibartan.com
শেবামেক’র কর্মচারী নাদিরুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর অঢেল সম্পত্তির মালিক

3:51 pm , May 5, 2021

 

হেলাল উদ্দিন ॥ ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ভর্তি বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম দূনর্ীিতর মূল হোতা জাহাঙ্গীর হোসেন। ভর্তির নথিপত্র গায়েব করা ও শো-কজের জবাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছে কলেজ প্রশাসন। আগামী দু এক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে একাডেমিক সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহীন। তবে শো-কজের সন্তোষজনক জবাব দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন কলেজের বর্তমান স্টোর কিপার ও ছাত্র শাখার সাবেক কর্মচারী নাদিরুজ্জামান।
এদিকে ভর্তি বানিজ্যসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কলেজের এই দুই কর্মচারী অঢেল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে পরিবর্তনের অনুসন্ধানে। নগরীর নবগ্রাম রোডের সিকদার সড়ক ও ধান গবেষনা রোডে নাদিরুজ্জামানের দুটি বহুতল ভবন এবং আমতলার মোডে খান সড়কে জাহাঙ্গীরের একটি ৫ তলা ভবনের সন্ধান মিলেছে। অন্যান্য ভবনগুলো ভাড়া দিলেও সিকদার সড়কের ৩ তলা বিশিষ্ট স্বপ্ন কুটির নামের সুবিশাল ভবনে পরিবার নিয়ে বাস করছেন নাদিরুজ্জামান। আর খান সড়কের অনন্যা নামক ভবনটিতে থাকছেন জাহাঙ্গীর। একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে শুধু নগরীতেই নাদিরুজ্জামানের ৩ টি এবং জাহাঙ্গীরের দুটি বিলাশবহুল বহুতল বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও নামে বেনামে দুই জনের কোটি কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। যা সত্যতা সরকারী সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থাগুলো তদন্ত করলে বেড়িয়ে বলে মন্তব্য করেন তারা। এছাড়া কলেজের একাধিক দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে শুধু এক শিক্ষাবর্ষ নয় এই অভিযুক্তরা বছরের পর বছর ধরে মেডিকেল কলেজে এমবিসিএস ভর্তি বানিজ্যসহ নানা দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আতœসাৎ করেছে। তবে এসব সম্পত্তি নিজের কষ্টে অর্জিত টাকায় করেছেন বলে জানিয়েছেন স্টোর কিপার নাদিরুজ্জামান। বলেন বেতনের টাকা ও পৈতৃক সম্পত্তি মিলিয়ে এসব বাড়ি করেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে। ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
সম্প্রতি ঢাকায় ডিবি পুলিশের অভিযানে মেডিকেল কলেজে ভর্তি জালিয়াত চক্রের একটি গ্রুপ ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে ভর্তি বানিজ্যের সাথে জড়িত দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তিদের নাম উঠে আসে। এদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া হিসাবে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ভর্তির কাগজ পত্র চিঠি প্রেরন করা হয়। যে চিঠির প্রেক্ষিতে ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষা বর্ষের বরিশাল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কাগজ পত্র চেয়ে চিঠি প্রেরন করে ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। সেই কাগজপত্রের সন্ধান করতে গিয়ে স্টোর থেকে ওই শিক্ষা বর্ষের কাগজপত্র গায়েব হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। বেড়িয়ে আসে তৎকালীন ছাত্র শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত জাহাঙ্গীরের ভর্তি বানিজ্যের বিষয়টি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জাহাঙ্গীর ও বর্তমান স্টোর কিপার নাদিরুজ্জামান কে শোকজ করে। নাদিরুজ্জামান সেই শোকজের জবাব দিলেও বর্ধিত সময় নিয়েও এখনো শোকজের জবাব দেননি জাহাঙ্গীর।
কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন মূল অভিযুক্ত হচ্ছে জাহাঙ্গীর। প্রথমে ৪ কার্য দিবসের সময় দিয়ে শোকজ করা হয়েছিলো। পরে জাহাঙ্গীর ১০ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময়ও শেষ হতে চলেছে। আগামী দু এক দিনের মধ্যে যদি সঠিক জবাব ও না পাওয়া নথিগুলোর সন্ধান না পাওয়া যায় তাহলে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে সভার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ গ্রহন করব।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT