বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ৯ হাজার টাকায়ও একটি টিকেট মিলছে না বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ৯ হাজার টাকায়ও একটি টিকেট মিলছে না - ajkerparibartan.com
বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ৯ হাজার টাকায়ও একটি টিকেট মিলছে না

3:50 pm , May 5, 2021

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে সড়ক ও নৌ-পথে গন পরিবহন বন্ধের মধ্যে রাজধানীর সাথে দক্ষিনাঞ্চলের যোগাযোগে আকাশ পথই একমাত্র মাধ্যম। তাই আকাশচুম্বি ভাড়ায়ও মিলছে না ফ্লাইটের একটি টিকেট। গতকাল বুধবার ঢাকাÑবরিশাল রুটের বে-সরকারী এয়ারলাইন্সের একটি টিকেট বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার টাকায়। অথচ এ বিপুল চাহিদার মধ্যেও নানা বিধিনিষেধে বে-সরকারী এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। আর রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি ঈদের পরদিন থেকে নিয়মিত দৈনিক ফ্লাইট সপ্তাহে ৩ দিনে হ্রাস করেছে। ফলে মানুষের দূর্ভোগ আরো বৃদ্ধির সাথে বেসরকারী এয়ারলাইন্সের বাড়তি ভাড়া আদায় আরো মজবুত হবে বলেও মনে করছেন যাত্রী সাধারন। করোনা মহামারি প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে সড়ক ও নৌ-পথে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধের মধ্যে গত ২২ এপ্রিল থেকে সরকার সীমিত পরিসরে আকাশ পরিবহন চালুর অনুমোদন দেয়। সে নিরিখে বেসরকারী নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা বরিশাল সেক্টরে প্রতিদিন ১টি করে ফ্লাইট চালু করে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি গত ২৩ এপ্রিল থেকে বেশ কয়েকবার সময়সূচি পরিবর্তন করে সকালের দিকে ১টি ফ্লাইট পরিচালন করলেও ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকেলে দুটি ফ্লাইট পরিচালনের ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু ঈদের পরদিন থেকেই সংস্থাটি বরিশাল সেক্টরে দৈনিক ফ্লাইট আবার সপ্তাহে ৩ দিনে হ্রাস করেছে বলে জানা গেছে। ফলে এ সেক্টরে যাত্রী দূর্ভোগ বৃদ্ধির সাথে ভাড়া নিয়েও সব ধরনের ভারসাম্যতা বিনষ্ট হচ্ছে। বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো বুধবার থেকে মাত্র ৬৮ এ্যারোনটিক্যাল মাইলের ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে যেমনি ৯ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছে, তেমনি ঈদের পরেও ৫ হাজার ৭শ থেকে ৯ হাজার টাকায়ও টিকেট বিক্রি হচ্ছে। তবে এ বাড়তি ভাড়ায়ও ঈদের পরের যাত্রারও টিকেট প্রায় শেষ। অথচ করোনা সংকটের আগে ঢাকা-ব্যাংককÑঢাকা রুটের প্রায় সাড়ে ১৬শ এ্যারোনটিক্যাল মাইলে থাইল্যন্ডের একটি বেসরকারী এয়ারলাইন্স মাত্র ১২ হাজার ৫শ ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করেছে।
এমনকি ঈদের পরে সরকারী উড়ান সপ্তাহে ৩ দিনে সীমিত করায় বেসরকারী এয়ারলাইন্স ভাড়া বৃদ্ধির বাড়তি সুযোগ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ সাধারন যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ-এর বরিশাল সেলস অফিসের জেলা ব্যবস্থাপক কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ফ্লাইটের সময়সূচি হেড অফিস থেকে নির্ধারিত হয়। ইউএস-বাংলার বরিশাল সেলস অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আরো জানান, করোনা সংকটের আগে বরিশাল সেক্টরে দুটি ফ্লাইট থাকলেও এখন বেবিচকের অনুমোদন না থাকায় ১টির বেশী ফ্লাইট পরিচালন সম্ভব হচ্ছে না। বাড়তি ভাড়ার প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য না করলেও যাত্রী চাহিদার নিরিখে ভাড়া নির্ধারিত হয় বলে জানান তিনি। নভো এয়ার-এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ঈদের পরের এক সপ্তাহের টিকেট বিক্রি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বাড়তি ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, যাত্রী চাহিদার বৃদ্ধির সাথে ভাড়া বৃদ্ধির নিয়ম বিশ^ব্যাপি স্বীকৃত।
তবে এ প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার বিমান, ইউএস-বাংলা এবং নভো এয়ার অফিসের সামনে থাকা একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রীয় বিমান বার বার সময়সূচী পরিবর্তন করায় যাত্রীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। বেসরকারী এয়ারলাইন্সকে বাড়তি সুযোগ দেয়ার জন্যই বিমান-এর একটি মহল কাজ করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। তাই রাষ্ট্রীয় বিমানকে আগের মতই যাত্রী বান্ধব সময়সূচী অনুযায়ী নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনের দাবী করেছেন যাত্রীরা। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষ-বেবিচক’কে দুরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রনেরও দাবী জানিয়েছেন যাত্রীরা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT