চরফ্যাশনে জোড়া খুনের ভাড়াটে খুনি শরীফ ৫ দিনের রিমান্ডে চরফ্যাশনে জোড়া খুনের ভাড়াটে খুনি শরীফ ৫ দিনের রিমান্ডে - ajkerparibartan.com
চরফ্যাশনে জোড়া খুনের ভাড়াটে খুনি শরীফ ৫ দিনের রিমান্ডে

3:45 pm , May 5, 2021

চরফ্যাশন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাশনের জোড়া খুনের প্রধান আসামী ভাড়াটে খুনি শরীফুল ইসলাম ওরফে শাহীনকে গতকাল বুধবার ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন পুলিশ। এর আগে চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ম্যাজিস্ট্রেট সাদিক আহমেদ তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে খুনে জড়িত অন্য কারা ছিল, খুনের পরিকল্পনা এবং খুনে ব্যবহৃত সিএনজি এবং চালক সম্পর্কে তথ্যসহ সকল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে। মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট চরফ্যাশন থানা পুলিশের সূত্র থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ ও শরীফুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল মধ্যরাতের আগে ঘটে জোড়া খুনের ঘটনা। আগের দিন ৬ এপ্রিল চর মানিকার করিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন শরীফুল ওরফে শাহীন। পরদিন বাড়িতেই ছিল। তারপর থেকে সে উধাও হয়। শরীফুল ওরফে শাহীনের চাচা তাজল ইসলাম জানান, শাহীন বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। তার দাদী, বাবা, মা ও চার বোন আছে। মা ও বাবা চট্রগ্রামের মদিনা ঘাট এলাকায় থাকেন। সেখানে বাবা শাহে আলম সিএনজি চালক। দুই বোনের বিয়ে দেয়া হয়েছে। সপ্ত শ্রেনী পড়–য়া ছাত্রী সেজ বোন চট্রগ্রামে বোনের কাছে থাকে। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া ছোট বোন বাড়িতে দাদীর কাছে থাকে। বাড়িতে দাদী এবং ছোট বোন ছাড়া আর কেউ থাকেন না। বিশাল বাড়িতে ৪৫টি পরিবারের বাস করে। ৪০/৪৫ বছর আগে শরীফুলের বাবা শাহে আলম চট্রগ্রাম চলে যায়। শাহে আলমের গোটা পরিবার চট্রগ্রাম থাকতো। দেড় বছর বয়সের সময় শরীফুল ওরফে শাহীন বাবা মায়ের সাথে চট্রগ্রাম চলে যায়। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ৩ বছর আগে বাবা মায়ের সাথে চর মানিকার গ্রামের বাড়িতে এসেছিল শরীফুল। সে সময় বাড়িতে আধাপাকা ঘর তৈরী করা হয়। সে ঘরে শরীফুল ওরফে শাহীনের দাদী এবং ছোট বোন ময়মুনা থাকেন। প্রতিবেশীদের সাথে তাদের সম্পর্ক ভাল। প্রতিবেশীরা তাদেরকে ভালো মানুষ হিসেবেই জানতেন। দ্বিতীয় বার শরীফুল ওরফে শাহীন গ্রামের বাড়িতে আসেন গত ৬ এপ্রিল এবং পরদিন ৭ এপ্রিল থেকে তার কোন সন্ধান ছিল না।
পুলিশ জানায়, ৭ এপ্রিল রাতেই ঘটে খুনের ঘটনা। খুনের একদিন আগে ৬ এপ্রিল ভাড়াটে শরীফুল ওরফে শাহীনসহ অপর আরো একজন একই সাথে চট্রগ্রাম থেকে চরফ্যাশন আসে। এদের মধ্যে শাহীন পেশায় প্রাইভেট কার চালক হলেও অপরজন পেশায় সিএনজি চালক। সিএনজি চালক ওই খুনি বেল্লালের আত্মীয় এবং তার চট্রগ্রামের বাসায় খুনের ছক সাজানো হয়। ছক অনুযায়ী, ৭ এপ্রিল দুই তপন ও দুলালকে সঙ্গে নিয়ে চরফ্যাশনের খুনের স্থলে নিয়ে যায় মূল পরিকল্পনাকারী বেল্লাল। তাদের আনার কাজে ব্যবহার করা হয় একটি সিএনজি। ওই সিএনজি এবং চালকের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খুনের ঘটনা ঘটিয়ে ভাড়াটে খুনিরা ওই রাতেই চট্রগ্রামের পথে চরফ্যাশন ত্যাগ করে।
গতকাল বুধবার দুপুরে শরীফুল ওরফে শাহীনের করিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, চর আইচা গ্রামের ছায়ের উদ্দিন মুন্সি বাড়ি বাসিন্দা শরীফুল ওরফে শাহীন। বিশাল এই বাড়িতে ৪৫টি পরিবার রয়েছে। যারা সবাই শাহীনের নিকটাত্মীয় স্বজন। বাড়ীতে শাহীনদের আধাপাকা ঘরটি দামী ফার্নিচারে ঠাসা এবং পরিপাটি। চার কক্ষের এই ঘরটিতে বাস করেন শাহীনের বৃদ্ধা দাদী এবং ছোট বোন মাইমুনা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT