করোনার ভীতি উপেক্ষা করে নগরীতে ঈদ কোনাকাটায় উপচে পড়া ভীড় করোনার ভীতি উপেক্ষা করে নগরীতে ঈদ কোনাকাটায় উপচে পড়া ভীড় - ajkerparibartan.com
করোনার ভীতি উপেক্ষা করে নগরীতে ঈদ কোনাকাটায় উপচে পড়া ভীড়

3:39 pm , May 4, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনার মহামারির মধ্যেও নগরীর মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। করোনার ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ কেনাকাটায় পুরো নগরীতে ছিলো মানুষে উপচে পড়া ভীড়। তবে দোকানী-ক্রেতাদের অনেকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ ছিলো উপেক্ষিত। গতকাল নগরীর চকবাজার, গির্জা মহল্লাসহ ব্যস্ততম মার্কেটগুলো ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। এদিকে মার্কেটের স্বাস্থ্য বিধি তদারকি করতে আজ থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক টিম নামানো হচ্ছে নগরীর মার্কেটগুলোতে। এছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় নগরীর চকবাজারে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্টোপলিটন বিভাগ। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তা কার্যকর করা হবে। দীর্ঘদিন পর মার্কেট তথা দোকানপাট খুলে দেওয়া ও আসন্ন ঈদ, সব মিলিয়ে গতকাল নগরীর মার্কেটগুলোতে মানুষের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মত। ত্রেতাদের ভীড় দেখে বোঝার উপায় ছিলো না যে দেশে করোনার মত মহামারী চলছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সরকার দীর্ঘ সময় পরে মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও নগরীরে তা ছিলো অনেকটাই উপেক্ষিত। বেশীর ভাগ দোকানীদের মুখেই ছিলো না মাস্ক। এছাড়া প্রতিটি মার্কেটে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তা কোন ভাবেই মানা হয়নি। অন্য দিকে নো মাস্ক,নো সার্ভিস” স্লোগান অনুযায়ী মাস্ক পরিধান ছাড়া গ্রাহকদের কাছে কোন ধরনের পন্য বিক্রি না করার কথা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহার না করেই প্রয়োজনীয় পন্য অনায়াসে কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
নগরীর রুপাতলীর বাসিন্দা এক সরকারী কর্মচারীর স্ত্রী বলেন, মাসের শুরুতে বেতনের টাকা হাতে পাওয়ায় ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। একটু ভাল ও আধুনিক পন্য পাওয়ার জন্য চকবাজারে এসেছি। সোহেল নামের এক যুবক বলেন আমি নলছিটি থেকে এসেছি নিজের কেনাকাটা করার জন্য। আসার পথে মাস্ক ছিড়ে গেছে তাই আর কেনা হয়নি। তিনি বলেন আমি প্রতি বছরই বরিশাল থেকে ঈদ কেনাকাটা করে থাকি তাই এবারও এসেছি। করোনার কারনে আসাটা ঝুকিপূর্ন মনে হয়নি বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য বিধি না মানার বিষয়ে একাধিক দোকানদার বলেন মানুষের চাপে স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। মাস্ক পরিধান করে কতক্ষন কথা বলা যায়। তারা আরো বলেন ক্রেতাদের ভিড়ের কারনে আমরা দোকানদারই স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছি না সেখানে ক্রেতারা মাস্ক পরলো কি পরলো না তা দেখার ফুসরত নেই। করোনার ভীতি আল্লাহ’র উপর ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেন তারা।
ক্রেতাদের ভীড়ের কারনে গতকাল চকবাজারসহ পুরো নগরীজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বরিশাল মেট্টোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন বলেন প্রতি বছরই আমরা চকবাজারসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়ককে যান চলাচল বন্ধ করে দেই। এবার এখনো করা হয়নি। তবে আমাদের অবজারবেশনে রয়েছে। দু’এক দিনেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে আজ থেকে মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম নামানো হচ্ছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার থেকে মার্কেটগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। কেউ স্বাস্থ্য বিধি না মানলে তাৎক্ষনিক জরিমানাসহ শাস্তি প্রদান করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT