3:53 pm , April 25, 2021
কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ মহিপুরে স্বল্প মেয়াদে বন্দোবস্ত (চান্দিনা ভিটায়) নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে বহুতল ভবন সহ নানা স্থাপনা নির্মান করে দখল করলেও তা উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এমনকি গাছ কেটে ও প্রবাহবাহ খাল দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করলেও সংশ্লিষ্টরা রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ। সু-নির্দিষ্ট তথ্য ও দৃশ্যমান প্রমানের পরও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা সাধারন মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহিপুরে সদৃশ্যমান রয়েছে (১ বছর) বন্দোবস্তকৃত চান্দিনা ভিটায় বহুতল ভবন। এভাবে প্রায় ডজন খানিক বহুতল ভবন নির্মান হয়েছে এই মহিপুর বাজার ও তার আশেপাশে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি রয়েছে নির্মানধীন। এ বিষয়ে সকল ভবনের মালিকরা জানায়, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন আছে। কিন্তু অনুমোদনের কাগজ দেখতে চাইলে মহিপুর ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। মহিপুর ভূমি অফিসে গেলে তারাও কোন অনুমোদিত কোন কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসকের নাম ব্যবহার করে ১ বছরের চান্দিনা ভিটায় বহুতল ভবন নির্মান করা হচ্ছে। এসব বিষয় কর্মকর্তার নজরে আনলে শুধু ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েই নিরব থাকছেন তারা।
এদিকে এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদ কর্মীদের কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে মহিপুর প্রেসক্লবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী বলেন, একটি বিষয় তথ্য সংগ্রহ করতে ৫/৬ বারের অধিকবার গেলেও কোন কর্মকর্তা দেখা করেন না। তথ্য না দিয়ে বরং শুনিয়ে দেয় এমন কিছু সতর্ক বানী। ওয়াকিবহাল মহল ও সচেতন সাধারন মানুষের মন্তব্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এমন স্বল্প মেয়াদী বন্দোবস্তকৃত (চান্দিনা ভিটায়) জমিতে বহুতল ভবন নির্মান, পাউবোর জমি দখল ও বালু ভরাট করে স্থাপনা নির্মান, বনবিভাগের গাছ কেটে বনাঞ্চল ধংস ও বসতভিটা নির্মান, প্রবাহমান নদী ও তীর দখল করে স্থাপনা ও প্রাচীর নির্মান এমন অনিয়ম ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারন পর্যবেক্ষণ স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া এবং সমাজিক ভাবে অপরাধের ভারসম্য রক্ষা আবশ্যক। প্রত্যেকের জবাবদিহিতা শতভাগ নিশ্চিত করে প্রচালিত আইকে রক্ষা সুনিশ্চিত করা দরকার।