ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ স্যালাইন সংকট ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ স্যালাইন সংকট - ajkerparibartan.com
ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ স্যালাইন সংকট

3:22 pm , April 18, 2021

 

মো: আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ভোলায় ডায়রিয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছে। গত ৭দিনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তারসহ নাসরা। বৃস্টি না হওয়া, লেবু পানি, পচাঁ বাসি এবং বেশি গরম খাবারের ফলে ডায়রিয়া প্রবনতা বেশি বলে জানালেন সিভিল সার্জন। সংকট দেখা দিয়েছে স্যালাইনের। গত ৭ দিন ধরেই ভোলায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এই অবস্থায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ভোলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব আগত রুগীদের সেবা দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। করোনার মাঝে এমন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। যে কারনে সেবা না পেয়ে নার্স ও ডাক্তারদের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। শুধু তাই নয় স্যালাইন ও ঔষধ না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে রোগীর সাথে আসা স্বজনদের।
ভোলা সদর হাসপাতালে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে মেঝেতে শুয়ে থাকা শত শত মানুষের কস্টের চিত্র। এরা সকলেই ডায়রিয়ার রোগী। বেড না পেয়ে এরা সকলেই হাসপাতাল এর বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি কতটা যে ভয়াবহ তা হাসপাতাল এর এমন অবস্থা দেখলেই বুঝা যায়। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিনের অবস্থা বেশি খারাপ। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা থেকে রোগীর সাথে আসা স্বজন মো: ইউসুফ বলেন, স্ত্রী নাজমা বিবিকে ডায়রিয়া থেকে সুস্থ করে বাড়িতে নেয়ার পরে ছেলে নুরনবী (৯) আক্রান্ত হয়। আবার তাকে নিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোন খাবার থেকে হয়নি বলেন ইউসুফ। তবে ডাক্তার ও নার্সদের সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, ভেদুরিয়া থেকে আসা মো: সবুজ (৩৮)। ছোট বোন ছাহেরা বেগম ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ে গতকাল সকালে ভোলা সদরে আসেন। কোন ধরনের ঔষধ না পাওয়া এবং স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে সব করতে হচ্ছে বলে জানালেন, মো: সাহাবুদ্দিন (৩০) নামের এক রোগীর স্বজন। দৌলতখানের চরপাতা থেকে আসা সাহাবুদ্দিন বলেন, কোন ধরনের সেবা দিচ্ছে না হাসপাতালের স্টাফরা।
এদিকে পরিস্থিতি খারাপ তা স্বীকার করে ভোলার সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, সংকট দেখা দিয়েছে স্যালাইনের। এজন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্যালাইন চেয়ে বলা হয়েছে। আশা করছেন দ্রুত তা পাওয়া যাবে। তবে রোগী বেশি বলে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানালেন। তবে এজন্য দীর্য দিন ধরে বৃস্টি না হওয়া, খাল ও পুকুরের পানি খাওয়া, পচাঁ বাসি এবং অতিমাত্রায় গরম খাবার খাওয়ায় বেশি ডায়রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন সিভিল সার্জন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT