নামের মিল ও পুলিশের ভুল খেসারত গুনেছে প্রবাসীর পরিবার নামের মিল ও পুলিশের ভুল খেসারত গুনেছে প্রবাসীর পরিবার - ajkerparibartan.com
নামের মিল ও পুলিশের ভুল খেসারত গুনেছে প্রবাসীর পরিবার

2:57 pm , April 6, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শুধু নামের মিল থাকায় হয়রানির শিকার হয়েছে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউপির দক্ষিন লামচরির বাসিন্দা প্রবাসীর পরিবার। চেক প্রতারনার মামলার পলাতক আসামী হিসেবে পুলিশ প্রবাসীর মালামাল ক্রোক করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। নামের মিল থাকার বিষয়টি প্রমান করতে প্রবাসীর পরিবারকে সিলেট আদালত ও সিটি ব্যাংকের কাছে ধর্ণা দিতে হয়েছে। ঘটনার শিকার প্রবাসী হলো মো. জাকির হোসেন। দক্ষিন লামচরি গ্রামের বাসিন্দা জাকির বর্তমানে মালয়শিয়া প্রবাসী।
সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের দেয়া চেক প্রতারনার মামলার পলাতক আসামী হিসেবে গত ১৪ মার্চ কাউনিয়া থানার পুলিশ তার বাড়ীতে যায় মালামাল ক্রোক করতে। এ সময় তার পরিবার আতংকিত হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে স্ত্রী, কন্যা ও জামাতা একজন আইনজীবী নিয়ে সিলেট গিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছেন।
হয়রানির শিকার জাকির হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, গত ১৪ মার্চ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের মামলায় মালামাল জব্দের নোটিশ আসে। এ নোটিশ পেয়ে ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কোন ব্যাংকের নোটিশ না জানায় চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলী বাজার এলাকার কৃষি ব্যাংকে যান। কিন্তু সেখান থেকে কোন নোটিশ পাঠানো হয়নি বলে জানিয়ে দেয়া হয়। পরে নোটিশ নিয়ে যাওয়া কাউনিয়া থানার এএসআই জিয়ার শরনাপন্ন হন। তিনি সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের শরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন সিলেটের ধোপা দিঘির পাড় এলাকায় সিটি ব্যাকের শাখা থেকে ২০১৭ সালের ২০ জুন জাকির হোসেন নামে একজন ঋন নিয়েছেন। হবিগঞ্জে জাকির হোসেনের জেড কর্পোরেশনের অনুকূলে ৪ লাখ ৫৫ হাজার পাঁচশত চুয়াল্লিশ টাকা ঋণ নেন। এ সময় সিটি ব্যাংকের হবিগঞ্জ শাখায় জাকির হোসেনের ব্যাংক হিসাব নম্বরের একটি চেক জমা দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋন পরিশোধ না করায় ব্যাংকে জমা দেয়া চেক নগদায়নের জন্য জমা দেয়। কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনায় সিটি ব্যাংক তার বিরুদ্ধে চেক প্রতারনা মামলা করে। মামলার পূর্ব থেকে হদিস বিহীন জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী ও মালামাল ক্রোকের পরোয়ানা জারী করে।
জানা গেছে, মামলার আসামী জাকির হোসেনের গ্রামের বাড়ি চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর লামচরি এলাকায়। তাই আদালতের জারি করা পরোয়ানা কাউনিয়া থানায় এলে দক্ষিন লামচরি গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেনের বাড়িতে দেয় পুলিশ। নামের মিল ও পুলিশের ভুলের কারনে প্রবাসীর পরিবারের কষ্টার্জিত অর্থ অহেতুক ব্যয় করাসহ হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করীম বলেন ‘অনুসন্ধান করে প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হবে। তাছাড়া অনুসন্ধানে নামের মিল থাকায় ওই বাড়ীতে পুলিশ যেতেই পারে। এটা দোষের কিছু নয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT