2:47 pm , March 17, 2021
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ মুজিব শতবর্ষে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ এর শুভ ক্ষনে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে কুয়াকাটা সমুত্র সৈকতে নির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বালু ভাস্কর্য পর্যটক এবং নতুন প্রজন্মের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে উম্মুক্ত করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগের নির্মিত বালুর ভাস্কর্যটি গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে চার টায় ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার), পিপিএম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশের পিতা বঙ্গবন্ধু ১০০১ বছর আগে জন্মগ্রহন করেছে টুঙ্গিপাড়া। আমাদের সুভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুর মত এক জন নেতার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে। তার যৌবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন জেলখানায়, দেশের জন্য ভালোবাসা ছিল বহু গুন। বঙ্গবন্ধু চাইলে ক্ষমতা লাভ করে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারতেন। তিনি তা করেননি। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার জন্য এবং কবর খোড়া হয়েছিলো, কিন্তু তাতেও তিনি পাকিস্তানীদের সাথে আপোষ করেননি। এর এই দেশ প্রেম ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারনেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থ নৈতিক ভাবে সাবলম্বিতা অর্জণ করেছে অনুকরনীয় ভাবে। তার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানীরা বাংলাদেশকে স্মরণ করছে যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করায় তারা এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পরম ভক্তি-শ্রদ্ধায় কাঠ ফাঁটা রোদ উপেক্ষা করে এবং রাত জেগে খুলনা ও রজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগরে ৬ শিক্ষার্থী বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গাবন্ধুর ভাস্কর্য, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তৎকালীন ঐতিহাসিক দৃশ্য, ৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের স্মৃতিময় করুন মূহুর্ত গুলো সুনীপুন হাতের ছোয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বেলা ভূমির এ ভাষ্কর্যে। একই সঙ্গে ভাস্কর্যে তৎকালীন হৃদয়ের স্লোগান- ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, আমার সোনার বাংলা, জয় বাংলা, আমার মায়ের ভাষা ও রাষ্ট্র ভাষ বাংলা চাই….’ খোদাই করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় উপস্থিতি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহফুজুর রহমানসহ জেলা ও বিভাগীয় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান মোশাররফ হোসেন, পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, সাবেক মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা, কলাপাড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা, কলাপাড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী, কলাপাড়া থানার অসি খন্দাকার মোস্তাফিজুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
ভাস্কর্য উদ্বোধনী শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়ামোনাজাত করা হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এই ভাস্কর্যটি ১৭ মার্চ থেকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত পর্যটক ও নতুন প্রযন্মের জন্য উম্মুক্ত থাকবে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। বালু ভাস্কর্যে পাশের মঞ্চে স্থানীয় শিল্পিদের অংশগ্রহনে দেশাত্ব বোধক গান পরিবেশিত হয়।