নিষিদ্ধ সময় জাল নৌকা নিয়ে ব্যস্ত জেলেরা নিষিদ্ধ সময় জাল নৌকা নিয়ে ব্যস্ত জেলেরা - ajkerparibartan.com
নিষিদ্ধ সময় জাল নৌকা নিয়ে ব্যস্ত জেলেরা

3:07 pm , March 9, 2021

চাল সঠিক ভাবে না পাওয়া ও বিতরন নিয়ে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ

মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মার্চ ও এপ্রিল দুইমাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিপ্তর। তাই এই সময়ে জাল আর নৌকা ঠিক করা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা। তবে সরকারী ভাবে দেয়া চাল না পাওয়া আর বিতরন নিয়ে জেলেদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রশাসন বলছে এ বছর তাদের প্রত্যকটি বিতরন স্থলে থাকবে আলাদা নজর।
মৎস্য অধিদপ্তর সুত্র মতে, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষনা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাই এসব এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও মজুদকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। অথচ এসব আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্য মাছ ধরা আর বিক্রিতে ব্যস্ত ভোলার মেঘনা পাড়ের জেলেরা। প্রশাসনের অভিযানের শিথিলতাকেই দায়ী করছে সাধারন জেলেরা। সঠিক ভাবে সরকারী দেয়া চাল না পাওয়ার অভিযোগতো রয়েছেই। এর পরেও মেঘনা নদীর পাড়ে গেলে বেশির ভাগ জেলেদের দেখা গেছে তারা ব্যস্ত জাল নিয়ে। কাছে গিয়ে জানা যায়, তারা দুইমাস পরে যাতে নির্বিঘেœ ইলিশ মাছ ধরতে পারে এজন্য জাল ঠিক করে প্রস্ততি নিচ্ছে। মেঘনা পাড়ের জেলে মোঃ কালু বলেন, আমরা জাল ঠিক করছি মাছ ধরার জন্য। সরকারী আইনকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তবে সরকার আমাদের যে চাল দিচ্ছে তা সঠিক ভাবে পাচ্ছি না। প্রত্যেক মাসে ৪০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও পাচ্ছি মাত্র ১২ থেকে ১৫ কেজি করে। চাল বিতরনের অনিয়মের অভিযোগ শুনতে শুনতে প্রশাসনও বিরক্ত। তার পরেও সঠিক ভাবে চাল পাচ্ছে না অসহায় এসব জেলেরা। শুধু জেলে নয়,ক্ষতগ্রস্থ মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত আড়তদাররাও। তাদের দাবী সরকার যেন তাদের দিকেও নজর দেন। এই দুইমাস তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। এদিকে মাছ ধরার কথা স্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, কিছু জায়গায় মাছ ধরা হচ্ছে। এসব অসাধু জেলেদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ঐসব এলাকায় অভিযান আরো জোরদার করার কথাও বলেন তিনি। এছাড়া জেলেদের মাঝে চাল বিতরনের অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাস ৪০কেজি করে প্রত্যেক পরিবার ৪ মাসে ১৬০ কেজি করে চাল পাবে। জেলেরা যাতে সঠিক ভাবে বরাদ্ধকৃত চাল পায় তা নিশ্চিত করতে এ বছর একজন করে প্রতিনিধি দেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT