2:24 pm , January 19, 2021

রহিম রেজা, রাজাপুর ॥ রাজাপুরের অধিকাংশ সরিষা ক্ষেতে ফুল ফুটেছে। ক্ষেতগুলোতে বাতাশে ধুলছে হলুদ ফুল। নয়নাভিরাম এ দৃশ্য উপভোগ করতে এবং ছবি তুলতে প্রতিদিন বিকেলে দল বেধে ছুটছে নানা শ্রেণির মানুষ। সুন্দর বীজও আসতে শুরু করেছে। এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। লাভের আশায় তাদের মুখে এখন হাসি। উপজেলায় ৬ ইউনিয়নেই কমবেশি জমির পর জমিতে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। সরিষা খেতে তাকালে দেখা যায় সরিষা ফুলের হলুদের সমাহার।ফুলে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছি। তবে অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজ আসতে শুরুও করেঠে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ মৌসুমে উপজেলায় মোট ৭১ হেক্টর জমিতে বিনা-৮, বারি ১৪, ১৫, ১৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে রাজাপুর সদর ইউনিয়নে ৭ হেক্টর, শুক্তাগড়ে ১৮ হেক্টর, মঠবাড়ি ১৭ হেক্টর, গালুয়াতে ১২ হেক্টর, মাতুরিয়ায় ৯ হেক্টর ও বড়ইয়া ৮ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছে। বড় রকমের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার লাভবান হবেন কৃষকরা। মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহরশংকর গ্রামের কৃষক আমীর হোসেন জানান, এ বছর অফিস থেকে সরিষার বীজ পেতে বিলম্ব হয়েছে। অফিস যে পরিমান সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করে তা প্রয়োজনের চেয়ে কম, তাই বাহির থেকেও তাদের সার ও কীটনাশক ক্রয় করতে হয়। শুক্তগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, কয়েক বছর থেকেই জমিতে সরিষার চাষ করছেন। কাছাকাছি পানির না থানায় জমিতে সেচ দিতে তাদের খুব কষ্ট হয় তাই সরকার থেকে যদি সেচের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে সরিষা চাষে তারা আরও বেশি আগ্রহী হতো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলছেন, সামনে কোনো বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে। কৃষকরা যাতে সঠিক নিয়মে আবাদ করতে পারে সে জন্য মাঠ পর্যায়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ কারনে ফলনও ভাল হওয়ার আশা করা হচ্ছে।