3:14 pm , January 3, 2021
সাঈদ পান্থ ॥ নি¤œমানের সামগ্রী নিয়ে স্কুল ভবন নির্মাণ করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল প্রশাসন ও শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগ। রোববার স্কুলের প্রধান শিক্ষক নি¤œমানের সামগ্রী নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দেখানোর পর কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এর আগে ওই স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকরা নি¤œমানের সামগ্রী (ইট) পুকুরে ফেলে দেন। ঘটনাটি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের রামকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটে। স্থানীয় ও প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের রামকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৩য় তলা পর্যন্ত ভবনের ছাদ হয়ে গেছে। এখন বাকি শুধু টপ ছাদ ও ভবনের দেয়াল দেয়া। আর এই দেয়াল দেয়ার জন্য আনা হয়েছে নি¤œমানের ইট। বিষয়টি স্কুলের ছাত্র শিক্ষকরা টের পেয়ে কিছু ইট পাশ^বর্তী পুকুরে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ঠিকাদারী প্রতিষ্টান তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রোববার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দিয়েছে। পাশাপাশি সেই নি¤œমানের ইট দিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল কাজ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জানান, শুরু থেকেই নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কয়েকবার ইট আমরা ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও খারাপ ইট দিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদাররা।
রামকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল মাঠে নি¤œমানের ইট এনে রেখেছেন ঠিকাদার। পরে আমরা এই ইট দিয়ে কাজ করতে দেইনি। সর্বশেষ শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ইটও দেখানো হয়েছে। তিনি কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে কাজ করতে বলা হয়েছে। ঠিকাদার সাঈদ আহম্মেদ মন বলেন, ব্রিক থেকে ইটগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। ইটের মান খারাপ হওয়ায় তা আমরা রিজেক্ট করেছি। কিন্তু নিতে একটু দেরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কালার হয়েছে। আমরা মান সম্পন্ন ইট দিয়েই কাজ করছি বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গির আলম বলেন, বিষয়টি আমি জেনে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে ওই ইট এর নমুনা দিয়ে গিয়েছে। আমি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও বলেছি তারা যেন এই ইট দিয়ে কাজ করাতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে। আমি ঘটনাস্থল পরির্দশন করে পরবর্তি নির্দেশনা দিবো।