1:26 pm , January 1, 2021

কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী মহিপুর থানা সদরে সাপ্তাহিক হাটের ভাসমান দোকানিদের জায়গা জবরদখল করায়, বাজার ইজাদারদের বিনিয়োগ ৬৬ লাখ টাকা আদায় সংকটে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন ইজারাদার মোঃ আলতাফ হোসেন। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মহিপুর ভূমি অফিস কর্তার অলিখিত চুক্তির ফলে জবরদখল করে ঘর নির্মান করা হয় সাপ্তাহিক ভাসমান দোকানিদের ব্যবসাস্থলে। যার ফলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন শতাধিক ক্ষুদ্র ভাসমান দোকানি। ভাসমান ক্ষুদ্র দোকানির ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাজার ইজারা আদায়ের টাকা এবং সংকটে পরেছে ইজারা খাতে বিনিয়োগের ৬৬ লাখ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন ইজাদার মোঃ মনির হাওলাদার বলেন, সরকার কর্তৃক সরকারি ভূমিতে তাদের ১ বছের জন্য ৬৬ লাখ টাকা মহিপুর বাজার ইজারা আদায়ের বন্দবস্ত দেয়া হয়। যার প্রধান টাকা আদায়ের উৎস বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন। তাই মহিপুর ভাসমান দোকানিদের জায়গা জবরদখল করে ঘর নির্মানের কারনে, ভাসমান দোকানিরা ব্যবসা করতে না পারায় টাকা আদায় করতে পারছেন না। বর্তমানে করোনা মহামারির কারনে দীর্ঘদিন ধরে হাটবাজার বন্ধ থাকায়, টাকা আদায় করতে না পারায় দিশেহারা ইজারাদার। বর্তমানে কোন রকম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, এর মধ্যে টাকা আদায়ের বেশীভাগ আসে বৃহস্পতিবার হাটের দিন ভাসমান দোকানির মাধ্যমে। এখন এই সব দোকানিরা বসতে না পারায় তাদের বিনিয়োগের টাকা আদায় করতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ভাসমান দোকানিদের সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রেখে বলেন, সরকার থেকে বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে, তাই এই সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট এই অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং সার্বিক সহযোগীতা থাকবে ভাসমান দোকানিদের পক্ষে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। দীর্ঘ ৬০ বসরের অধিক সময়ের পুরতন এই মহিপুরের সাপ্তাহিক বাজার। প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই বাজার শুরু হয়ে চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। এই বাজারটি দক্ষিন অঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বড় এবং অনেক পুরতন হওয়ায় বাজারটি ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক বাজার নামে খ্যাতি আছে। প্রতিটি বাজরে আনুমানিক দুই হাজার ভাসমান ব্যবসায়ী ও প্রায় লক্ষাধিক ক্রেতাদের সমাগম ঘটে। এরকম অনেক সাপ্তাহিক বাজার বন্ধ হয়ে গেলেও প্রায় ৬০ বসর অধিক সময় ধরে প্রতি বৃহস্পতিবার মিলে আসছে মহিপুরের এই সাপ্তাহিক বাজার। বাজারের প্রায় শতাধিক ভাসমান ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে ঘর তোলায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছে তাদের পরিবার। মহিপুর সাপ্তাহিক হাটের ভাসমান দোকানি ও মহিপুর বাজার ইজারা কর্তৃপক্ষ তাদের এই সমস্যা সমাধানে সরকার যথাবিধি মতো ব্যবস্থা নিয়ে তাদের এই সংকটের সমাধান করবেন বলে আশা রাখেন।