2:50 pm , December 30, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর বেসরকারী সংস্থা অরগানাইজেশন অব সোস্যাল এন্ড ইকোনোমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট’র (ওসেড) বিরুদ্ধে অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের হয়রানী ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতি সংস্থার এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে অবৈধ ভাবে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগে নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। মহানগরের বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করেন ওসেডের সিনিয়র ফিল্ড অফিসার মাসুম পারভেজ রুবেল। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে নগরীর নাজিরার পুলে অবস্থিত ওই এনজিওতে কাজ করতেন মাসুম পারভেজ রুবেল। ২০১০ সালে তার চাকুরী স্থায়ী হয়। নিয়ম অনুযায়ী বাড়ানো হয় বেতন ভাতা। এর পর নিজের প্রয়োজনে অফিসের নিয়ম মেনে ধাপে ধাপে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঋন নেন রুবেল। এরই মধ্যে বিভিণœ বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান বেদদ্বীজ চ্যাটার্জীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। যার রেশ ধরে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে রুবেলের বেতন ভাতাদি বন্ধ করে দেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক দেবজিৎ চ্যাটার্জী। তারপরও চাকুরী করেন রুবেল। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কোন ধরনের পূর্ব নোটিশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা বেতন ভাতাদী পরিশোধ না করে রুবেল কে চাকুরীচ্যুত করেন দেবজিৎ চ্যাটার্জী এবং হয়রানী করার জন্য রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন। এরপরই পুরো ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের সকল অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে আদালতে মামলা করেন রুবেল। আর এতেই বেড়িয়ে আসে ওসেডের অবৈধ ও নিয়মবহির্ভূত নানা কার্যক্রম।মামলায় রুবেল উল্লেখ করেন, ২০১৮ সাল থেকে বেতন বন্ধ হবার পর চাকুরীচ্যুতের দিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে বেতন ভাতাদি বাবদ তার পাওনা সাড়ে ৩ লাখেরও বেশী। ঋন বাদ দিয়েও প্রতিষ্ঠানের কাছে তার পাওনা প্রায় পৌনে এক লাখ টাকা। রুবেল মামলায় আরো উল্লেখ করেন কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা করা হচ্ছে ওসেড। প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী পরিচালক দেবজিৎ চ্যাটার্জী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫ লাখ টাকার উপরে ঋন দিচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য যে কোন এনজিওর চেয়ে কয়েকগুন বেশী অর্থ জমা নিচ্ছেন। মাত্রাতিরিক্ত ঋন পরিশোধের উৎস রহস্যজনক বলে জানান রুবেল।