2:51 pm , December 26, 2020

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে মৃত আব্দুল ওহাব চকিদারের মেয়ে শারিরিক প্রতিবন্ধী দুই কন্যা সন্তানের জননী প্রতিবন্ধী আনোয়ারা(৪৫)। বিয়ের পর প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও এক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানসহ দুই সন্তান রেখে স্বামী ইয়াছিন অন্যত্রে চলে যায়। স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের এক যুগেও খোঁজ নেয়নি স্বামী ইয়াছিন। বাধ্য হয়ে প্রতিবন্ধী এক কন্যাসহ দুই সন্তান নিয়ে আশ্রয় নেয় বাবার ভিটায়। নিজের শারিরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে অর্ধহারে অনাহারে থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে বড় মেয়ে তানিয়াকে লেখা পড়া করান স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সে এখন নবম শ্রেনীর ছাত্রী। ছোট মেয়ে সোনিয়া (১৪)বাঁক প্রতিবন্ধী ঝিয়ের কাজে মায়ের সাথে সহায়তা করেন।বাবা আব্দুল ওহাবের বাড়িতে এক টুকরো জমিতে প্রতিবন্ধী দুই সন্তান নিয়ে ঝুঁপড়ি ঘরে তাদের বসবাস। প্রতিবন্ধী পরিবারে অর্ধহারে অনাহারে তিন সদস্যে নিয়ে ঝুপরী ঘরে বসবাসের বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদের। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উদ্দ্যোগে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বেতনের টাকায় প্রতিবন্ধী পরিবারকে আধাপাকা ঘর নির্মান করেন দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিবন্ধী পরিবারের আনোয়ারাকে ঘরের চাবি তুলে দেন। প্রতিবন্ধী আনোয়ারা জানান, স্বামী ফেলে যাওয়ার পর থেকে নিজে এবং এক প্রতিবন্ধী সন্তানসহ তিন সদস্যে পরিবার নিয়ে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাবার ভিটায় একটুকরো জমিতে ঝুঁপড়ি ঘরে বসবাস করেছিলাম। দীর্ঘ এক যুগ পরে পাকা ঘর পেয়ে আশার আলো খুঁজে পেয়েছি।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদ জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনা উপহার এর ধারাবাহিকতায় এই প্রতিবন্ধী অসহায় পরিবারকে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বেতনের ২ লাখ টাকায় আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, মুুজিববর্ষ উপলক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উদ্দ্যোগে প্রতিবন্ধী পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে।সুবিধাবঞ্চিত এই প্রতিবন্ধী পরিবারকে ভাতার আওতায় এনে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।