3:04 pm , November 30, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হেল্পলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে নিরীহ দুইজনকে খুন সহ ডাকাতি মামলার আসামি বলে অভিযোগ দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্তকারী প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম। আটক প্রতারক হলো- রেজাউল মোল্লা (৫০)। সে পটুয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা। উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম জানান, ২০১৯ সালের ৬ আগষ্ট কাউনিয়া মরোকখোলা পোল জান্নাতুল এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ রিয়াজুল হক সরদার খুন হয়। পরে লাকুটিয়া সড়ক তালতলার মোড়ের পাশে একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন রয়েছে। ওই মামলার বাদী তার স্ত্রী নাজমিন বেগম। তার সাথে পরিচয় হয় বালু ভরাটের কাজ করতে আসা প্রতারক রেজাউল মোল্লার। এতে সে ওই হত্যার কথা জানতে পেরে তার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাশিপুর ইছাকাঠী এলাকার বাসিন্দা হানিফ সিকদার ও গৌরনদীর বাটাজোর এলাকার বাসিন্দা জসিম সন্যামতকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। তাদের ওই হত্যা মামলার আসামি বানিয়ে পুলিশের কাছে ভুল তথ্য দেয়। পুলিশ হেল্পলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে এবং এদেরকে ধরার জন্য পুলিশকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও মামলার বাদী মৃত রিয়াজুল হকের স্ত্রী নাজমিন বেগমকেও পুলিশ হেল্প লাইন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ নতুন করে মামলা তদন্তে নেমে কথিত দুই ব্যক্তির কোন সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার কারনে প্রতারক রেজাউল মোল্লাকে আটক করে। উপ-পুলিশ কমিশনার আরো জানান, প্রতারক রেজাউল মোল্লা মামলার বাদী নাজমিন বেগমকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে কু প্রস্তাব দিয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এই প্রতারক। এছাড়াও ব্যক্তি জীবনে রেজাউল মোল্লার দুই স্ত্রী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে একটি জাল টাকার মামলা রয়েছে। আটক প্রতারক রেজাউল মোল্লাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।