বরিশাল নৌ বন্দরের নাব্যতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ বরিশাল নৌ বন্দরের নাব্যতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ - ajkerparibartan.com
বরিশাল নৌ বন্দরের নাব্যতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ

3:19 pm , November 29, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পরিবেশগত সমস্যায় দেশের বরিশাল নদী বন্দরের নব্যতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদীতে নৌ বন্দরের মূল বেসিন সহ আশে পাশের এলাকায় পলিথিন আর প্লাস্টিকের বোতলের আস্তরন ভেদ করে পলি অপসারন অত্যন্ত দুরুহ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এসব পলিথিন আর প্লাস্টিকের বর্জ্য ড্রেজারের কাটার ও সাকশন পাইপে আটকে গিয়ে ড্রেজিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার পলি অপসারন করে বন্দরের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও বিলম্বিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ‘র পাশাপাশি বন্দর ব্যবহারকারীরাও যথেষ্ট দু.শ্চিন্তায় রয়েছেন। কারন আসন্ন শুষ্ক মৌসুমের আগেই পলি অপসারন করে নাব্যতা উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে এ নদী বন্দরের পরিচালন ব্যবস্থা যথেষ্ট হুমকির মুখে পড়বে। বিগত বছরগুলোর মত গত সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল বন্দরের নব্যতা সংকট শুরু হয়। বন্দরের নৌ টার্মিনালের মূল বেসিনে নব্যতা ৮ ফুটের নিচে নেমে আসায় বিআইডব্লিউটিএ জরুরী ভিত্তিতে ড্রেজার নিয়োগ করে। গত ২০ অক্টোবর থেকে পলি অপসারন শুরু করে। প্রায় দেড়লাখ ঘন মিটার পলি অপসারনের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে নৌ টার্মিনালের সামনের মূল বেসিনের প্রাথমিক স্তরের পলি অপসারন সম্পন্ন করে একতলা লঞ্চ ঘাটের সামনে ড্রেজিং করছে। কিন্তু পুরো টার্মিনালের সামনে কীর্তনখোলা নদীর তলদেশে পলিব্যাগ আর প্লাস্টিকের বোতলের বিশাল আস্তরন ভেদ করে পলি অপসারন করতে গিয়ে ড্রেজার পর্যন্ত বিকল হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ঝুকিপূর্ণ যে, প্রতিদিনই গড়ে ৫-৭ বার পর্যন্ত ডেজ্রার বন্ধ করে কাটার ও সাকশন পাইপ পরিস্কার করে আবার ড্রেজিং শুরু করতে হচ্ছে। ফলে বিপুল সময়ও নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ড্রেজারের কাটার সহ সাকশন পাইপ। তবে এরপরেও বিআইডিব্লিউটিএ‘র দায়িত্বশীল মহল ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় স্তরের পলি অপসারন করে বরিশাল বন্দর পরিপূর্ণভাবে সচল রাখার বিষয়ে আশাবাদি । দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরে প্রতি বছরই সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়। বিআইডব্লিউটিএ বিপুল অর্থ ব্যয়ে পলি অপসারন করে বন্দর সচল রাখার চেষ্টা করলেও বছর ঘোরার আগেই পুরনো সংকটে ফেরে এ নদী বন্দর। পরিস্থিতি উত্তরনে আজ পর্যন্ত নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট বা আইডব্লিউএম-এর মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ মডেল স্ট্যাডি‘র মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদী খননের কোন কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ‘র দায়িত্বশীল মহল থেকেও কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ নৌযানের যাত্রী সহ নদী ব্যবহারকারীদের কোন ধরনের পলিব্যাগ সহ পানিয়র বোতল নদী না ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT