3:19 pm , November 28, 2020

নলছিটি প্রতিবেদক ॥ নলছিটিতে পুলিশকে আহত করে পালিয়ে গেছে মারামারি মামলার প্রধান আসামী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজারে। পালিয়ে যাওয়া আসামী হলো- জহিরুল ইসলাম রিমন আকন। সে উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামের মৃত শাজাহান আকনের ছেলে। উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমল ব্যানার্জির ছেলে বাপিন ব্যানার্জি ও তার আত্মীয়-স্বজনকে মারধরের ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর নলছিটি থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ১নং আসামি রিমন আকন। আহত হয়েছে নলছিটি থানার কনষ্টেবল শহিদুল ইসলাম। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আসামি রিমনের মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। এছাড়াও সহযোগী সোহাগ মোল্লাকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে নলছিটি থানার এসআই ফরিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম উপজেলার বুড়িরহাট বাজারে গিয়ে আসামি রিমন আকনকে তার দোকানে দেখতে পায়। ওই সময় তারা তাকে গ্রেফতার করতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আসামি রিমন কনস্টেবল শহিদুলকে ধাক্কা দেয়। এতে সে দেয়ালের সঙ্গে লেগে তার কপাল ফেটে যায়। এ সুযোগে রিমন দোকান থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নলছিটি থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে রিমনকে গ্রেফতারে আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। দুপুর ১টার দিকে রিমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বুড়িরহাট বাজার থেকে নিতে যায় সহযোগী সোহাগ মোল্লা। ওই সময় সোহাগ মোল্লাকে আটক করা হয়। এছাড়াও মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রিমনকে গ্রেফতার করতে আসা পুলিশ সদস্যদের অসতর্কতার কারণে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, ‘মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল (পিও) পরিদর্শনে গেলে আসামি রিমন তাদের দেখে পালিয়ে যায়। এ কারণে ওই সময় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। ‘তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আসামির ধস্তাধস্তির বিষয়টি সঠিক নয়।’ তবে আসামি রিমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও তার সহযোগী সোহাগ মোল্লাাকে আটক করে কেন থানায় আনা হলো-এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।