3:16 pm , November 14, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে মোবাইল চুরির অপরাধে শিশু কন্যার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে বরিশাল শের-ই -বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠিয়েছে। আরেকজন শিশু হওয়ায় পরিবারের জিম্মায় দিয়েছেন। ভিকটিমের পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জের নীলগঞ্জ এলাকায় নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা শিশুর নাম জুই আক্তার। আড়াই হাজার টাকা দামের টাচ মোবাইল চুরির অভিযোগে প্রভাবশালী প্রতিবেশি কবির চৌকিদারের ছেলে সাইল ও তার দলবলের আক্রোশের শিকার হয়। নির্যাতিতা ও স্বজন সুত্র জানায়, ১০ বছর ৭ মাস বয়সী শিশু জুই বিকেলে তার নানীর বাড়ির উঠোনে খেলা করার সময় একটি মোবাইল চুরির অভিযোগে এরা শিশুটিকে তুলে নিয়ে একটি বাথরুমের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির হাত পা বেধে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পরে গামছা দিয়ে বেধে পানি ঢালা হয়। এ সময় শিশুটির শ্লিলতাহানীর চেস্টা করা হয় বলেও পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। শিশুটিকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জুই এর বাবা বশির হাওলাদার শুক্রবার বাদি হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শিশুটির পরিবার ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, মামলা দায়েরর পর অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে একজন শিশু রয়েছে। যার বয়স ১৪ বছর এবং সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা নেই, বৃদ্ধ মা রয়েছে। তাকে থানার শিশু বান্ধব কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রবেশন অফিসারের মাধ্যমে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।