নগরীর সবজির দাম চড়া নগরীর সবজির দাম চড়া - ajkerparibartan.com
নগরীর সবজির দাম চড়া

2:49 pm , November 13, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর বাজারে শীতের আগাম সবজির দাম চড়া। এ কারণে সবজি কিনতে গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সবজির সঙ্গে পেঁয়াজ ও আলুর দাম সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, বাজারে গিয়ে পণ্যের দামে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। শুক্রবার নগরীর বাংলা বাজার, চৌমাথা বাজার, বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গাজর, টমেটো, শিম, উস্তা, বেগুন, বরবটির কেজি ৮০ থেকে ১ শ’ টাকার ঘরে রয়েছে। বাকি সবজিগুলোর দামও ব্যাপক চড়া। বেশিরভাগের দাম ৮০ টাকার কাছাকাছি। বাজার ও মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত কয়েক মাসের মতো পাকা টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এছাড়া বরবটির ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সরকার দুই দফায় দাম বেঁধে দিলেও এখন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। বাজারে আসা নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। শীতের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট একটি ফুলকপি কিনতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। একই দাম দিতে হচ্ছে বাঁধাকপির জন্য। এদিকে ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। পটোল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামেও। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আমদানি করা বড় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পোর্ট রোড বাজারের ব্যবসায়ী কবির বলেন, সবজির দাম কমতে আরও সময় লাগবে। শীতের সবজি বাজারে ভরপুর আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম। এখন বাজারে যে হারে আগাম সবজি আসছে চাহিদা তার চেয়ে বেশি। এ কারণেই দাম এখনও চড়া। চৌমাথা বাজারের সবজি বিক্রি করা শাহিন বলেন, আমি প্রায় ৮ বছর ধরে সবজি বিক্রি করছি। আগে কখনো এত দীর্ঘ সময় ধরে সবজি এমন চড়া দামে বিক্রি করিনি। সবজির দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বিক্রিও অনেকটা কমে গেছে। ফলে লাভও হচ্ছে কম, যা আয় হচ্ছে তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। সবজি বিক্রি কমার পরও দাম কেন কমছে না, জানতে চাইলে এই অন্য এক ব্যবসায়ী জামাল বলেন, বিক্রি যে হারে কমেছে বাজারে সবজি আসা কমেছে তার চেয়ে বেশি হারে। আড়তে গিয়ে আমরাই অনেক সময় পছন্দের সবজি কিনতে পারি না। তবে শীতের সবজি ওঠা শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা, সামনের মাস থেকে দাম অনেকটা কমতে পারে। এদিকে সবজির চড়া দামের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ডজন। নগরীর ব্রাউনকম্পাউন থেকে বাজারে আসা ডাঃ নাছির আহম্মেদ বলেন, এক মাসের বেশি হয়ে গেছে সবজি খাওয়া এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছি। সবজির যে দাম, একশ টাকার সবজি দিয়ে একদিনও হয় না। হিসাব করে দেখেছি, সবজির থেকে এখন ব্রয়লার মুরগি কিনলে খরচ কম। তবে একেবারেই সবজি না খেলে হয় না। তাই মাঝে মাঝে কিছু সবজি কিনি। তিনি আরো বলেন কবে কমবে সবজির দাম তা আমি জানিনা। তবে আমাদেরই এই অবস্থা নি¤œ আয়ের মানুষ কি করছে বলতে পারছিনা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT