3:24 pm , November 7, 2020

মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের অসহায় ভুমিহীন ১৩ হাজার মানুষের জন্য প্রায় ৫হাজার খাস জমি দেয়ার আহবান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর। এসব মানুষের যাওয়ার বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই বলেও জানান ঢালচর এর একাধিক বাসিন্দা। খাসজমি ভুমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেয়া এবং একটি খাল খননের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ভুমিহীন পরিবার গুলো।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর কাছে দেয়া স্থানীয় ভুমিহীনদের পক্ষে ৫০৬ জন স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন করেন চরফ্যাশন ঢালচরের চেয়ারম্যান মো: আবদুস সালাম হাওলাদার। সেখানে দেখা যায়, দীর্যদিন ধরে ঢালচর নদীতে ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যাওয়ায় ঢালচরের হাজার হাজার মানুষ ভুমিহীন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে একই ইউনিয়নের দক্ষিন তারুয়ার চর নাম্ক স্থানে অন্তত ১৫ শত একর এবং পূর্বপাশে আরো প্রায় ৩৫ শত একর খাসজমি রয়েছে। ঐ জমি বসবাস করার উপযোগী। এসব জমি বর্তমানে পতিত অবস্থায় পড়ে আছে। অথচ ঢালচরের হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহারা। এসব মানুষের মাথাগোজার শেষ সম্ভল ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভয়াল মেঘনায় বিলিন হয়ে গেছে। একদিকে বন বিভাগ অপরদিকে ভয়াল মেঘনা যাবে কোথায় এসব অসহায়রা। মেঘনার ভাঙ্গনের ফলে সব হারিয়ে এসব অসহায়রা যখন বন বিভাগের পতিত খাস জমির দিকে যায় আর তখনই বন বিভাগ তাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমন বক্তব্য খোজ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদুস সালাম হাওলাদার এর।
এদিকে স্থানীয় ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মাছ ব্যবসায়ী ফরাজী মো: আলম বলেন, আমার জীবনে কতবার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ি ভয়াল মেঘনার ভাঙ্গনের কবল থেকে সরিয়েছি তার শেষ নেই। এখন কোথায় যাব আর কি ভাবে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকবো তা জানি না। একই ধরনের কথা বলেন মো: আজাহার আলী, কারি সফিউল্লাহ ও মো: সামসুদ্দিনসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিবারের। এসব পরিবারের পক্ষে তাদের মধ্যে থেকে ৫০৬ জন স্বাক্ষর করার পর সেটি তুলে দেয়া ভোলার সুনামধন্য যোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর হাতে। চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আবদুস সালাম হাওলাদার।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের হাজারো জেলের কথা চিন্তা করেই বন বিভাগের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খাল সম্পূর্নরুমে খনন করার দাবী জানিয়েছে এলাকার এসব জেলেরা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে ঝড় হলে মেঘনায় তাদের মাছ ধরার নৌকা.ট্রলার রাখলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একাধিকবার খাল খননের উদ্দ্যেগ নেয়া হলেও বন বিভাগ এর আপত্তির কারনে তা থেমে যায়।