3:11 pm , November 1, 2020

শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ৩ দফা দাবীতে ইন্টার্নী ডক্টর্স এসোসিয়েশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। গতকাল রোববার দ্বিতীয় দিনে কোন ইন্টার্নী চিকিৎসককে কাজে যোগ দেননি। রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরের পর থেকে কোন ডাক্তারই তাদের খোঁজ খবর নেয় নি। এমনকি কোন চিকিৎসকরে দেখাও তারা পাননি। এ অবস্থায় তারা দুভোর্গে রয়েছেন। বিশেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাধারনত ২৪ ঘন্টাই রোগীর পাশে থাকতো। কিন্তু কর্মবিরতির কারনে কোন ওয়ার্ডে কেউ নেই। এদিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, চিকিৎসক সংকটের মধ্যেও তারা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও শেবাচিম হাসপাতালে বর্তমানে ২২৪ টি পদের স্থলে মাত্র ৯১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু এটি ৫ শত শয্যার হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত পদ ছিলো, বর্তমানে হাজার শয্যার এ হাসপাতালে দেড় হাজারের মতো রোগী থাকলেও সেখানে পদের কোন উন্নয়ন ঘটেনি। তারওপর শূন্যপদ পূরনে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ইন্টার্নী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারী রেজিষ্টারের ডা. মাসুদ খান মামলা করেন। এ ঘটনায় শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে ইর্ন্টানী চিকিৎসকরা। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিলো। কিন্তু কোন পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। তবে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক। উল্লেখ্য এ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় দেড়শত ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। যারা করোনাকাল থেকে দায়িত্ব পালন করেন। আর ডাঃ মাসুদ খানও অতিরিক্তি দায়িত্বপালনসহ করোনাকালে সবথেকে বেশি সময় কাটিয়েছেন এ হাসপাতালে এবং রোগীদের সাথে।