1:30 pm , October 29, 2020

উজিরপুর প্রতিবেদক ॥ চাকুরি ফিরে পাওয়ার জন্য উজিরপুরের গুঠিয়া মহেশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থ কেলেঙ্কারী, মালামাল লুট সহ নানা কারনে সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সেই প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ ৪৭ জনের বিরুদ্বে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এ সংবাদে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিবাকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানাযায়, গুঠিয়ার কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান সহকারী শিক্ষক হিসাবে গুঠিয়ার মহেশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকুরি নেন ১৯৯৮ সলে তিনি ওই সময় আদালতে মামলা দায়ের করে সে নিয়োগ পান। এরপর ২০১৪ সলে প্রধান শিক্ষক নিয়েগে তিনি ৩ হয়ে অদৃশ্য কারনে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করেন। তার ইচ্ছায় ও নিয়মেই গত কয়েক বছর ধরে চলছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সে ম্যানেজিং কমিটির সদেস্যদের কোন অনুমতি ছাড়াই স্কুলের নানা ধরনের মালামাল বিক্রয় করে নামে মাত্র টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দিয়ে মোটা অংকের অর্থ নিজে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্বে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রকাশ্যে খারপ আচারন করারও অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্বে। দূর্নিতীর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও মালামাল লুট করা সহ একধিক অভিযোগে তাকে ১৮ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি। ১৫ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বরখস্ত করার সিদ্বান্ত গ্রহন করা হয়। সিদ্বান্ত বাস্তবায় করা হলে প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মামলা দয়ের করেন এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থী ও সাধারন অভিবাবকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ম্যানেজিং কমিটির সদেস্য মো: নাসির খান জানিয়েছেন, সদ্য বরখস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক দূনিতীর মাধ্যমে বিদ্যালয়টির অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তার প্রমানের ভিত্তিতেই তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সে অনেক বির্তকিত কাজকর্ম করার কারনে সাধারন অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা তার উপর ক্ষুব্দ রয়েছে । স্কুলের মালামাল চুরি,দূর্নিতি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া , মালামাল লুট সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বরখস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিচারের দাবীতে ইতিপূর্বে একধিকবার শতশত শিক্ষার্থী ও অভিবাবকার বিক্ষোভ মিছিল করেছে এছাড়াও মালামল লুট ও চুরির ঘটনায় প্রকাশ্যে শালিস বৈঠকও হয় বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে তার উপস্তিতিতে তাকে সহয়াতা করে ঘটনার জড়িত ছিলো ওই বিদ্যালয়ের এমএলএসএস সমির কৃষœ সার্কেলকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। স্কুলের মালা মাল চুরির ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান ও এমএলএসএস সমির কৃষ’র বিরুদ্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় ওই কমিটি তাদের ২ জনের বিরুদ্বে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্বে ব্যাবস্থা নেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি।