বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

3:03 pm , October 20, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার সহযোগী আরিফ মিয়া সহ অন্যান্যদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রেফতারের দাবিতে প্রশাসনের উচ্চ দফতরে লিখিত আবেদন জানিয়েছে কবাই ইউনিয়নের হানুয়া গ্রামের সাধারন বাসিন্দারা। ডাকাতি, ছিনতাই, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের মত গুরুতর ১৩ টি মামলার নামধারী আসামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে তার হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার দাবী জানিয়েছে অভিযোগকারীরা। সোহেল মিয়া একাধিক মামলার আসামী এবং ডাকাতি মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বর্তমানে বেপরোয়া কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ইউনিয়নে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে সাধারন বাসিন্দাদের বসবাস এক রকম দুরুহ হয়ে উঠেছে। ইউনিয়নে সকল ধরনের চাদাবাজী, ভূমি দস্যূতা, মাদক কারবার, ইভটিজিং এর মত অপরাধে প্রত্যক্ষ মদদদাতা সোহেল মিয়া বলে অভিযোগে জানায় কবাই ইউনিয়নের সকল বাসিন্দারা। সোহেল মিয়ার অত্যাচারে যে শুধু এলাকার বাসিন্দারাই অতিষ্ঠ তা নয়, তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে খোদ তার পিতা এবং ফুফুও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে। সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেল মিয়া কবাই ইউনিয়নের হানুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান মিয়ার ছেলে। কবাই ইউনিয়ন, বরিশাল এর বিভিন্ন এলাকা এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চিহ্নত সন্ত্রাসী ও ডাকাত সোহেল মিয়া। তার বিরুদ্ধে মোট ১৩ টি মামলা সহ বিভিন্ন থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। মামলা হলো- চাদাবাজী মামলা ধারা ৩৮৫, ৩৮৭, তাং ০২/১০/২০২০ ইং ২. জি আর নং ৪/৯৮, তাং ০২/০৫/২০২০ ইং ৩. জিআর নং ২৪০/১৯ (বাকেরগঞ্জ, কলসকাঠি, ৭টি স্বর্নের দোকানে ডাকাতি মামলা) ৪. জিআর ২৪১/১৯ (কলসকাঠি স্বর্নের দোকানে ডাকাতির সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধর), ৫. মামলা নং ২০১/২০০৫ ধারা ৯৫,৯৭ ( জলপালঙ্ক লঞ্চ ডাকাতি, এই মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত) ৬. মামলা নং ১৮০/২০০৪ ধারা ৯৫,৯৭ (বাদী তার নিজ পিতা খলিলুর রহমান মিয়া) ৭. মামলা নং ১৮/২০০৫ ধারা ৯৫,৯৭ বাদী (বাদী চাচাতো ফুপু মোসা: ফাতেমা বেগম) ৮. মামলা নং ৯৫/২০০৭ ধারা ৯৫,৯৭ (বাদী আলিম ফকির কামারখালী) ৯. মামলা নং ৮৯/২০০৭ ধারা ৯৫,৯৭ (বাদী হেলেঞ্চা, গ্রামে ডাকাতি) ১০. মামলা নং ২৪৩/২০০৭ ধারা ৯৫/৯৭ (বাদী সাহিদা বেগম) ১১. মামলা নং ২৪/২০০৫ ধারা ৯৫,৯৭ (পেনাল কোর্ট ১৮৬০) ১২. মুলাদী থানায় ডাকাতি মামলা জিআর নং ২৪/২০০৫ ধারা ৩৯৯, ৪০২ পেনালকোর্ট ১৮৬০ এবং ১৩. মুলাদী থানায় মামলা নং ৮২/২০০৬ অ¯্রসহ গ্রেফতার।
উল্লেখিত মামলাগুলো ছাড়াও সোহেল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জলপালঙ্ক লঞ্চ ডাকাতি মামলায় সোহেল মিয়া ১৪ বছরের সাজার রায় হয়। ৮ বছর পরে আদালতে আত্মসমর্পন করে পরবর্তিতে উচ্চ আদালতে থেকে ২ বছর পূর্বে জামিন নিয়েছিলো সোহেল মিয়া। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১ বছর আগেই। তা সত্বেও সে আদালতে হাজির না হয়ে এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চাদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। তার এমন কর্মকান্ডে এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার সর্বস্তরের জনগন। তাই সম্মিলিত ভাবে সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবী জানানো হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT