3:01 pm , October 20, 2020
মো: আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ চাইলে এবং আন্তরিকতা থাকলেই যে সম্ভব, তা প্রমান করেছে ভোলার প্রশাসন। ৬০বছরের এক বৃদ্ধা চিৎকার করে বলেন, আমি ভোট দিয়েছি ৩০ বছর পর। ধন্যবাদ প্রশাসনকে। তারা পরিস্থিতি সৃস্টি না করলে ভোট দিতে পারতাম না। যদিও কেন্দ্র দখলের চেস্টা, ককটেল ফোটানো আর জাল ভোট দেয়ার অপরাধে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন ছিলো। তার মধ্যে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নির্বাচন ভোট দিতে এসে এমন চিত্র দেখা যায়। সকাল ৯টায় যথা নিয়মে ভোট গ্রহন শুরু হয়। বাপ্তা ইউনিয়নের দক্ষিন চরনোয়াবাদ সর্দার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শুরুর সাথে সাথে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান কেন্দ্রের দ্বায়িত্বে থাকা সকলকে নিয়েই সুষ্ঠ ভোট গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন। ভোট গ্রহন শুরুর প্রথমদিকেই জালভোট দেয়ার প্রবনতা ছিলো। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধে মোট ২০ জন নারী-পুরুষ আটক করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী। তিনি এবং অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: মহসিন এর তৎপরতায় কেন্দ্র শান্ত থাকে। যদিও এক প্রার্থীর মহিলা সমর্থক কেন্দ্রের মধ্যেই কামাল উদ্দিনের উপর হামলা করে। এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দখলে নেয়ার চেস্টা করে কেন্দ্রের মহিলা বুথে জালভোট দেয়ার সময় উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী এবং নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারনে তা ভেস্তে যায়। কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সকল প্রার্থীকে বসিয়ে রাখা হয়, একসাথে। কেন্দ্রের চারপাশে অবস্থান নেয় পুলিশের বিপুল পরিমানে সদস্যরা। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে ভোটাররা সুন্দর পরিবেশ ভোট দিয়ে যাবার সময় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। এ সময় বৃদ্ধ আর বৃদ্ধারা ভোট দিয়ে চিৎকার করে বলে, স্যার ৩০ বছর পর ভোট দিলাম শান্তিপুর্ন ভাবে। আমার ভোট আমিই দিতে পেরেছি। তবে এই আনন্দ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দুপুরের পর পরই কেন্দ্রের পাশেই পর পর ৩টি ককটেল ফোটানো হয়। পরিস্থিতি আবারো অশান্ত হলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল আলাম আজাদ। যদিও আটক সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয় ভোট শেষ হবার আগ মুহুর্তে। ভোটে শেষ পর্যন্ত বিএনপি প্রার্থী ফুটবল মার্কা নিয়ে মো: কামাল উদ্দিন ৫৩০ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো: জিয়াউল হক ২৬৭ ভোট পেয়েছেন ।