2:59 pm , October 13, 2020
মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ছবি দেখে মনে হতে পাড়ে জেলে পরিবারের কারো বিয়ে কিংবা নৌকার মাঝি নিজেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। না এমন কিছুই নয়। আসলে এ বছর শেষের দিকে প্রচুর ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। তাই ২২ দিন নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখেই নৌকা নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেই নৌকা সাজিয়ে নিজ বাড়ি যাচ্ছেন এসব জেলরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার মেঘনা নদীর পাড়ের মাছ ঘাটে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। মুলত এরা সকলেই বাহির থেকে এসে ভোলার নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে। তাই এমন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তারা নিজ নিজ নৌকা সাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে করতে বাড়ি যাচ্ছে। সারিবদ্ধভাবে একের পর এক জেলে নৌকাকে দৃস্টিনন্দন করে সাজিয়ে নদী থেকে থেকে যাওয়ার দৃশ্য অনেকেরই নজর কেড়েছে। এদিকে জেলে মাঝি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, তার বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি প্রতিবছর আসেন এখানে ইলিশ মাছ শিকারে। সরকার ২২দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে,তাই নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। প্রথমদিকে ইলিশ পাওয়া না গেলেও শেষের দিকে প্রচুর ইলিশ জালে ধরা পড়েছে। গিয়াস মাঝি বলেন, মানুষ হিসেবে আমাদেরও আনন্দ করতে ইচ্ছে করে। তাই শেষ দিনে যা পেয়েছেন,তা সব নিজ বাড়ির জন্য নিয়ে আনন্দ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
একই কথা বলেন অপর জেলে মো. বেল্লাল। তিনি এসেছেন চাঁদপুর থেকে। মঙ্গলবার ফিরে গেছে চাঁদপুরে। কারন আজ রাত ১২টার পর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান উপলক্ষে সকল ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্ষয়, পরিবহন ও মজুদকে নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাই ঝামেলা এড়াতে ফিরে গেছেন। ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ইলিশের দেখা মিলেছে। ইলিশে সয়লাব জেলার ছোট বড় শতাধিক মাছ ঘাট। আর তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন রাত ইলিশ ধরা আর মোকামে চালান করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। এদিকে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মেলায় জেলেদের মধ্যে খুশির আমেজ রয়েছে। এ বিষয়ে ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশের উৎপাদনের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অর্জন করা সম্ভব হবে। এ বছর ভোলা জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। মৌসুমের প্রথম ৩ মাসেই ধরা পড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ।