2:58 pm , October 13, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে এখন পর্যন্ত সেই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন পায়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগি তরুনী ও তার পরিবার। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সবুর খান তদন্তে তার সাথে ঠিকভাবে সমন্বয় করেনি বলে দাবি করে সেই তরুনী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলেন, ২০১৭ সালে চাকরি চাইতে কাঁঠালিয়ার তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে চেয়ারম্যান) এমদাদুল হক মনিরের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। চাকরির তদবিরের কথা বলে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তাকে নগরীর আগরপুর রোডে তার বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মনির। ওইদিনই তথাকথিত এক কাজী ডেকে বিয়ের করার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্রে তার সাক্ষর নেয় সে। এরপর থেকে স্ত্রী পরিচয়ে মনির তার বাড়ি আমুয়া বাজারে ৫ তলা ভবনে, নগরীতে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসা এবং ঢাকার লঞ্চের কেবিনে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের কাগজপত্র চাইলে মনির টালবাহানা শুরু করে এবং বিয়ে হয়নি বলে জানায়। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মনিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এছাড়া মামলার পর থেকে আসামি ও তার সহযোগীরা তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে ওই তরুণী দাবি করেন।