1:00 pm , October 8, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী মঙ্গলবার থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নৌ-রুটে নাব্যতা সংকট নিরসনে খনন বা ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করছে বিআইডব্লিউটিএ। আসন্ন শুস্ক মৌসুমকে ঘিরে এই উদ্যেগ নেয়া হয়েছে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, সবমিলিয়ে এবারে গোটা বিভাগে প্রায় ৩০ টি পয়েন্টে মোট প্রায় ১২ কিলোমিটার নৌ পথে খনন কাজ পরিচালনা করা হবে। যেখান থেকে ১৪ লাখ ঘনমিটার বালু অপসারণ করা হবে, আর এই খনন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। আর এই খনন কাজের মধ্য দিয়ে গোটা শুস্ক বা শীতের মৌসুমে নৌ পথকে সচল রাখা সম্ভব হবে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি আরো জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএ’র বর্তমানে ৪৫টি ড্রেজার রয়েছে। বরিশাল বিভাগের খনন কাজে ৮/১০ টি ড্রেজার কাজ করবে। আর প্রয়োজনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ড্রেজারও ব্যবহার করা যাবে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে বরিশাল নদী বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া আরো বলেন, ভাঙ্গন ও বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পানির সাথে আমাদের দেশের নদ-নদী হয়ে প্রচুর বালু বা পলিমাটি বঙ্গোপসাগরে যায়। যদিও হিসেব অনুযায়ী ৩০ শতাংশ বালু আমাদের অভ্যন্তরীন নদ-নদীতে থেকে যায়, বাকি ৭০ শতাংশ বঙ্গোপসাগরে যায়। আর এই ৩০ শতাংশের কারণে প্রতিবছর নৌ-রুট রক্ষায় মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাদের। নয়তো শুকনো মৌসুমে নৌপথগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনও হয় খনন করার পরপরই কয়েকদিনের মধ্যে আবার পলি পরে নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলছে। তখন নৌপথ সচল রাখতে আবারো আমাদের সেখানে ড্রেজিং করতে হবে। তিনি বলেন, মংলা থেকে পাকসী পর্যন্ত একটি নৌ রুট রয়েছে। যার মধ্যে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের নৌ রুটটি পরেছে। এটি একটি প্রকল্পের মাধ্যমে খনন করা হয়। এর বাহিরে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা নদী বন্দর এবং পাতারহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় খনন কাজের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া বরিশাল-ভোলা রুটের ভোলা খাল (কড়ইতলা নদী), লাহারহাট-ভেদুরিয়া রুট হয়ে ভোলা নদী বন্দর পর্যন্ত, ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাট(মতিরহাট) রুট, লালমোহন-নাজিরপুর-ঢাকা রুট, পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ রুটের বগা, বাকেরগঞ্জের কবাই, কারখানা নদীর বিভিন্ন স্থানে ২২ থেকে ৩০টি স্থানে খননের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ রুটে দ্রুত খনন কাজ শুরু করা না গেলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সভায় বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকারসহ বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা, লঞ্চ মালিক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।