2:50 pm , October 7, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এবার চালকদের হুমকি দিচ্ছে নগরীর গ্যাস চালিত সিএনজি ও অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের মেয়াদ উত্তীর্ন বিলুপ্ত কমিটির সাধারন সম্পাদক সবুজ জোমাদ্দার ও তার ভাই জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার। গত কয়েকদিন আগে পুলিশের অভিযানে চাঁদাবাজী বন্ধ হওয়ার পর আতœগোপনে থেকে চালকদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া গোপনে নতুন করে ভিন্ন ব্যানারে শ্রমিক ইউনিয়ন বা সংগঠন খোলার পায়তারা চালানোর খবর পাওয়া গেছে সবুজ জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে। খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন লোকজন ধরে বরিশাল শ্রম দপ্তরে দৌড়ঝাপও শুরু করেছেন তিনি।
একাধিক চালক অভিযোগ করে বলেন পত্রিকায় সংবাদের পর পুলিশের অভিযানে চাঁদা উত্তোলনকারী আটক হবার পর অনেকটা আতœগোপনে চলে যায় তথা কথিত গ্যাস চালিত সিএনজি ও অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ন কবির মোতালেব ও সাধারন সম্পাদক সবুজ জোমাদ্দার। এরপরে চালকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে সবুজ জোমাদ্দার। সাথে যুক্ত হয় তার ভাই ওই কমিটর সদস্য জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার। হালিম ও আলী হোসেন নামে দুই চালক বলেন নগরীর শতাধিক চালক গন স্বাক্ষর করে চাঁদাবাজী বন্ধের দাবী জানিয়ে পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই খবর জানতে পেরে ওই অভিযোগে যারা স্বাক্ষর করেছে তাদের সনাক্ত করে ডেকে ও ফোনে বিভিণœ ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
সবুজ জোমাদ্দার ও তার ভাই হুমকি দিয়ে বলে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কিভাবে নগরীতে গাড়ি (সিএনজি, অটোরিক্সা) চালাও দেখে নেব। পত্রিকায় খবর ছাপা হলে কিছু হয় না। পুলিশ ম্যানেজ করে ফেলব। কিছু দিন গেলে আবার আমরাই সংগঠনের নেতৃত্ব দেব। তখন দেখব তোরা কি করে গাড়ি চালাও। চালকরা আরো বলেন আমরা খবর পেয়েছি সবুজ বিভিন্ন লোকজন ধরে আবার নতুন করে কমিটি গঠনের চেষ্টা করছে। সে জন্য শ্রম অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন তিনি। বিষয়টি দেখার জন্য তারা পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চালকরা।
উল্লেখ্য গত কয়েক দিন আগে নগরীতে গ্যাস চালিত সিএনজি ও অটো রিক্সার চালকদের কাছ থেকে শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজীর খবর প্রকাশ করে দৈনিক পরিবর্তন। এর পরের দিন কোতয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে আটক হয় কবির নামের এক চাঁদা উত্তোলণকারী। যার বিরুদ্ধে এক টাফিক সার্জেন্ট বাদী হয়ে মামলাও দায়ের করে। এরপরই থেকে নগরীর সব ধরনের গ্যাস চালিত সিএনজি ও অটোরিক্সা থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ করে আতœগোপনে চলে যায় তথা কথিত শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।