2:48 pm , October 6, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভুয়া সনদ দিয়ে দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে করছেন সরকারী চাকুরী। তার উপর আবার অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগেরও শেষ নেই বরিশাল ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) অফিসের নৈশ প্রহরী কাঞ্চন আলী সিকদারের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেছেন ওই অফিসেরই চতুর্থ শ্রেনীর এক কর্মচারী। এছাড়া আবেদনের অনুলিপি প্রেরন করা হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব ও দূর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক বরাবরে। আবেদনে উঠে এসেছে বরিশাল ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমানের নাম। যার আশ্রয় ও ছত্রছায়ায় অনিয়ম দূর্নীতির নানা কর্ম করে যাচ্ছেন কাঞ্চন আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯০ দশকে নবম শ্রেনীর সনদ দিয়ে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী নেন কাঞ্চন আলী। যে শিক্ষা সনদ ও জন্ম সনদে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের ঠিকানা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী জেলার লাউকাঠি এলাকায়। বিগত বিএনপি জোট সরকারের সময়ে বরিশাল পোষ্ট অফিসে বিএনপি নেতার ছিলেন কাঞ্চন আলী। বঙ্গবন্ধুর ছবির উপরে পা রেখে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেন তিনি। পরে এ ঘটনায় কাঞ্চন আলীকে অভিযুক্ত করে তৎকালীন ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদনও প্রেরন করেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এর পরপরই বর্তমান ডিপিএমজি মিজানুর রহমান বরিশালে যোগদান করার পর তার ছত্রছায়ায় বেপরোয়া রুপে অনিয়ম দূর্নীতি শুরু করেন কাঞ্চন। ডিএমজিকে ম্যানেজ করে দায়িত্ব নেন পোষ্ট অফিসের ডাক বাংলোর তত্ত্ববধায়কের। একাধিক রেজিষ্টার খাতা ব্যবহার করে তিনি। এখান থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়া ডিপিএমজি অফিসের মেরামত, গ্রেজ তৈরী, ফুলের বাগান, পুকুরে মাছ চাষ ইত্যাদি কাজের নামে ভূয়া ও অতিরিক্ত বিল তৈরী করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার ছত্রছায়ায় ডাক বাংলোয় অবৈধ কার্যকলাপেরও অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগ পত্রে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।