2:43 pm , October 6, 2020
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ একটানা ৯ দিনের বিরতির পরে দক্ষিণাঞ্চল করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর মিছিলে ফিরলেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪৫% হ্রাস পেয়েছে। তবে তা ৪৮ ঘন্টা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। এরফলে দক্ষিণাঞ্চলে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়াল ১৭২ জনে। আর নমুনা পরিক্ষার হার আশংকাজনক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগীর প্রকৃত সংখ্যা যাচাই দুরুহ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী সুস্থতার সংখ্যাও আগের দিনের তুলনায় প্রায় তিনগুন বেড়ে ১৫ থেকে ৪৪ জনে উন্নীত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে মোট সুস্থ রোগীর সংখা দাড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৭৮ জনে। এখনো দক্ষিণাঞ্চলে সুস্থ্যতার হার দেশের সর্বোচ্চ, ৯২.১৬%। পাশাপাশি এ অঞ্চল মৃত্যু হারও জাতীয় হারের চেয়ে অনেকটাই বেশী, ২.০৪%।
মঙ্গলবার দুপরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুনকরে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ছিল আগের দিনের ২৭-এর স্থলে ১৪। যার মধ্যে বরিশালেই আক্রান্ত ৮ জন। এ জেলায় আগের দিন সংখ্যাটা ছিল ১৪। এরফলে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ৮ হাজার ৪৪০ জনে। এরমধ্যে বরিশালেই ৩,৫৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে করেনার হটস্পট বরিশাল মহানগরীতেই আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩ হাজার ২শর মত। আর জেলায় এ পর্যন্ত মৃত ৬৯ জনের মধ্যে মহানগরীতেই সংখ্যাটা প্রায় ৫৫। সর্বশেষ গত সোমবার নগরীর কাশিপুর এলাকায় ১৬ বছর বয়সি এক কণ্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমনে। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নগরীতেই আরেকজনের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মাত্র ১৪৫ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১৭ জনেরকোভিড পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। এসময়ে ভোলা হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরিক্ষা হয়েছে ২১ জনের, সনাক্ত হয়েছে একজন। এপর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে সনাক্তে হার ১৭.৩০%। যা জাতীয় হারের চেয়ে অনেক বেশী।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে আরো দুজন করে এবং ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠীতে একজন করে কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়েছে।
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৭ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরো ২৫ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময়ে হাসপাতালটির আইসিইউ’তে আরো ৫ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন ।