2:39 pm , October 6, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের সার্বিক নিরাপত্তাহীনতা চিরাচরিত। রোগী ও তাদের স্বজনদের টাকাসহ গুরুত্বপূর্ন মালামাল চুরি এ হাসপাতালের নিত্ত নৈমেত্তিক ঘটনা হিসাবে তো রয়েছেই। বেশ কয়েকজন নবজাতক চুরির ইতিহাসও রয়েছে এ হাসপাতালটিতে। হাজার লোকের সমাগমের ভিড়ে বহিঃ বিভাগসহ সাধারন ওয়ার্ডে এসব চুরির ঘটনা বরাবরই স্বাভাবিক বলে আসছে হাসপাতাল প্রশাসন। এবার সংরক্ষিত খ্যাত করোনা ওয়ার্ডেও ঘটেছে চুরির ঘটনা। কি জবাব রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জানতে চেয়েও এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি কর্র্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
জানা গেছে সোমবার মধ্য রাতে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন বরিশাল সদর উপজেলার চর কারনজী এলাকার প্রবাসী ফারুকের স্ত্রী সাইফা ইসলাম সুখী। ২ নং রুমের ৫ নম্বর বেডে অবস্থান ছিলো ওই গৃহবধুর। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি তার সাথে থাকা ব্যাগ টি খুজে পাচ্ছিলেন না। স্বাভাবিক কারনেই খোজাখুজির আর প্রয়োজন বোধ করেন নি তিনি। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারনে গতকাল দুপুরের দিকে নমুনা দিয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজ বাড়িতে চলে যান তিনি।
ওই গৃহবধু বলেন ওয়ার্ডে তো টাকা পয়সা মালামাল লুকিয়ে রাখার আলাদা ব্যবস্থা নেই তাই রাতে ঘুমিয়ে পড়ার সময় ব্যানিটি ভাগটি কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে দেখি ব্যাগটি নেই। ব্যাগে নগদ ১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা দামের অপ্পো মোবাইল ফোন এবং ডেবিট কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্রসহ গুরুত্বপূর্ন কাগজ পত্র ছিলো। তিনি অভিযোগ করেন করোনা ওয়ার্ডে রোগীর দু একজন স্বজন স্বজন ছাড়া অন্য কারো প্রবেশ নিষেধ। যে কারনে এ ওয়ার্ডে সেফটি বা নিরাপত্তা থাকার কথা। কিন্তু দায়িত্বরতদের দায়িত্বহীনতা ও হাসপাতাল প্রশাসনের কঠোরতা এবং নজরদারীর অভাবে করোনা ওয়ার্ডের মত সংরক্ষিত স্থানেও চুরির ঘটনা ঘটছে। যা হাসপাতালের রোগীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন নিরাপত্তাহীনতার কারনে পূর্ন চিকিৎসা না করিয়েই আমি বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেনের ফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের সংরক্ষিত করোনা ওয়ার্ডে এ ধরণের চুরি ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।