3:06 pm , October 4, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাদকাসক্ত স্বামী স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। কিন্তু পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে মাদকাসক্ত বাপ্পি কর্মকার স্ত্রী তিশাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিশাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে স্বামী বাপ্পি। এর আগে শনিবার নগরীর অমৃত লাল দে সড়কের নিজ বাসা থেকে গৃহবধূ তিশা কর্মকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী বাপ্পি কর্মকারকে আটক করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় গৃহবধূকে হত্যার আলামত পায় পুলিশ। তবে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কর্মকার ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া বাসার নিজ কক্ষে তিশা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবী করে স্বজনরা। তবে রাত থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ করলেও শনিবার দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ হয়। হত্যার শিকার গৃহবধু তিশা কর্মকার পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি এলাকার বাঁশতলা গ্রামের সুদেব হালদারের কন্যা। তিন বছর পূর্বে অমৃত লাল দে সড়কের বাসিন্দা রবিন কর্মকারের ছেলে বাপ্পি কর্মকারের সাথে বিয়ে হয় তার। জানা গেছে, বাপ্পী মাদকাসক্ত হওয়ায় পরিবারে কলহ ছিলো। কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের এসআই ফিরোজ আল মামুন জানান, হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ঘাতক স্বামী বাপ্পি কর্মকার। ঘটনার রাতে নেশাগ্রস্থ বাপ্পি তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সহকারি কমিশনার মো. রাসেল জানান, মৃতের হাতে এবং গলায় দাগ দেখে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে হত্যার কথা স্বীকার করেন বাপ্পি। স্বামী বাপ্পি কর্মকারকে আটক করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত তিশা কর্মকারের ভাই সাগর হালদার।