3:42 pm , September 28, 2020
চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসনে ঘুমন্ত গৃহবধূর উপর ঝাঁপিয়ে পড়া মানুষরূপী হায়নার পুরুষাঙ্গ কেটে নিজের সম্ভ্রম বাঁচালেন এক গৃহবধূ। রোববার দিবাগত গভীর রাতে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচর গ্রামের আবাসান প্রকল্পে গৃহবধূর বসতঘরে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ও রক্তাক্ত নঈম (৩৫)কে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। গুরুতর আহত নঈমকে চরফ্যাসন থেকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নঈম একই গ্রামের আজম আলী সর্দারের ছেলে এবং পেশায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক বলে জানাগেছে। আক্রান্ত গৃহবধূ জানান, তার স্বামী পেশায় জেলে। ঘটনার রাতে স্বামী বাড়ি ছিলেন না, মাছ ধরার কাজে নদীতে ছিলেন। আবাসনের ঘরে ৯ বছরের শিশুসন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে প্রাকৃতিক ডাকাতে সাড়া দিতে বাহিরে যান। বাহির থেকে এসে দরজা বন্ধকরে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমন্ত অবস্থায় নঈম তাকে ঝাপটে ধরেন এবং মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাকে প্রাণপন চেষ্টা করেন গৃহবধূ। ধস্তাধস্তির মধ্যেই বিছার পাশে সেলাইরত কাথাঁ থেকে ধারালো ব্লেড হাতিয়ে নেন গৃহবধূ। নিজেকে বাঁচাতে ওই ব্লেড দিয়ে হামলাকারী নঈমের পুরুষাঙ্গ কেটে নেন তিনি। প্রতিবেশী মহিউদ্দিন জানান, পুরুষাঙ্গ কাঁটার পর বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করেন নঈম। চিৎকার দিয়ে উঠেন গৃহবধূও। ডাকচিৎকারে তারা ছুঁটে আসেন এবং নঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠান। গৃহবধূ আরো জানান, স্বামীর সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে নঈম তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায় নঈম তাকে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে। বিষয়টি তিনি স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেন। রোববার দুপুরে নঈম তার বাড়ি আসেন এবং তাকে ঘরের মধ্যে ঝাপটে ধরেন। তিনি ডাক চিৎকার দিলে নঈম পালিয়ে যান। গভীর রাতে তিনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বের হলে নঈম চুপিসাড়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পালিয়ে থাকেন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে নঈম তার উপর হামলে পড়েন। গ্রামবাসীরা জানান, নঈম বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।