2:52 pm , September 26, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নৌবন্দরে নোঙ্গর করা এমভি চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার মূলহোতা বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বজলু নগরীর ১০নং ওয়ার্ডস্থ রসুলপুর এলাকার আব্দুল জব্বার পালোয়ানের ছেলে। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ভোরে বরিশাল নৌবন্দরে নোঙ্গর করা বরিশাল-মজু চৌধুরীরহাট রুটে চলাচলকারী এমভি চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে লঞ্চটি সম্পূর্ন ভষ্মিভূত হয়ে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১২ এপ্রিল চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুস ছত্তার সিকদার বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চের লস্কর বজলুর রহমান এবং তার পিতা আব্দুর জব্বার পালোয়ানসহ ৭ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেণ। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো- মো. তোফায়েল, মনির হোসেন, মো. জাফর সিকদার, আব্দুর রব, আরিফুর রহমান।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে মেসার্স সিরাজুন্নেচ্ছা এন্ড কোম্পানীর এমভি চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লঞ্চটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে লঞ্চের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার সমস্ত কিছু ভষ্মিভূত হয়। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ‘আসামী বজলুর রহমানই এই ষড়যন্ত্রের মূলহোতা। লঞ্চটির ক্ষতিসাধনের জন্য সে বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে আসছে। যার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চের কেরানী হেলাল উদ্দীনকে ৮৮৮ পিস ইয়াবাসহ কোস্টগার্ড কর্তৃক ধরিয়ে দেয় বজলু। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা বজলু নিজেই ক্রয় করে কৌশলে কেরানী হেলালের কক্ষের বিছানার নিচে রেখে দেয় তাকে (হেলাল) ফাঁসানোর জন্য। এরপর সে নিজেই (বজলু) কোস্টগার্ডকে অবহিত করলে তারা এসে হেলালকে আটক করে ভোলা সদর থানায় মাদক মামলা দায়ের করে।