পুলিশের অসহযোগিতায় হুমকি বাস্তবে রূপ পুলিশের অসহযোগিতায় হুমকি বাস্তবে রূপ - ajkerparibartan.com
পুলিশের অসহযোগিতায় হুমকি বাস্তবে রূপ

2:49 pm , September 26, 2020

অবশেষে বাড়ি দখলে নিলো আত্ন স্বীকৃত স্বামী হত্যাকারী লিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শেষ পর্যন্ত প্রদত্ত হুমকি বাস্তবে রুপ দিলেন দলিল লেখক রিয়াজ হত্যার মূল আসামী তথা রিয়াজের স্ত্রী আমেনা আক্তার লিজা। গতকাল সকাল ১১ টার দিকে রিয়াজের পলাশপুরের বসত ঘর দখলে নেয় লিজা। এ ঘটনায় বিকেলে কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত রিয়াজের মা মমতাজ বেগম। তবে এ বিষয়ে থানা পুলিশ সন্ধ্যা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। অভিযোগে রিয়াজের মা মমতাজ বেগম উল্লেখ করেন রিয়াজ হত্যার পর থেকেই আসামী লিজা রিয়াজের পলাশপুরের বাড়ি দখল করবে। যার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। যে কারনে লিজা আদালতে বন্ডে স্বাক্ষরও দিয়ে আসে। গত কয়েকদিন ধরে লিজা আবারও পলাশপুরের ওই ঘর দখলে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরীও করা হয়। এই হুমকির কিছু দিন যেতে না যেতেই গতকাল নিজ হাতে তালা ভেঙে বাড়ি দখলে নেন লিজা। অভিযোগে রিয়াজের মা উল্লেখ করেন মামলার খুনি সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার ছেলের বাড়ি কাউকে হস্তান্তর করতে রাজি নন তিনি। রিয়াজের মা জানান অভিযোগ দাখিলের পর থানার ডিউটি অফিসার্স জানিয়েছে ওসি স্যার থানার বাহিরে আছেন। তিনি এসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্ধায় বলেন আমি এখনো থানায় যাইনি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নই। থানায় গিয়ে রাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে নিজ ঘরে খুন হয় সদর উপজেলার দলিল লেখক রিয়াজ। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য রিয়াজের স্ত্রী লিজা কে আটক করে থানা পুলিশ। পরে রিয়াজের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম রিপন বাদী হয়ে লিজা ও তার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম কে আসামী করে বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। লিজাও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে যে তিনি ও তার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম মিলে রিয়াজ কে কুপিয়ে হত্যা করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT