2:48 pm , September 26, 2020
আমতলী প্রতিবেদক ॥ বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা মৌজায় তিন ফসলী জমিতে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)র অর্থায়নে প্রস্তাবিত কনস্টাকশন অফ পায়রা- গোপালগঞ্জ- আমিনবাজার ৪০০ কেভি ট্যান্সমিশন সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় বরগুনা জেলায় একটি ৪০০ কেভি সুইচিং উপকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। উক্ত উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা মৌজায় ৫০ একর জমি অধিগ্রহন করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। উক্ত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৫০ একর জমির অধিগ্রহণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন আমতলী সদর ইউনিয়নের ভূক্তভোগী কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। শনিবার সকাল ১১টায় খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজার মূল সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ইউনিয়নের ভূক্তভোগী জনসাধারণ। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় ২ হাজার নারী পুরুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজনু মৃধা, উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা, চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান কবির, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, চলাভাঙ্গা জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা আলহাজ্ব মো. রাশেদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মনোয়ার হোসেন প্রমুখ। ভুক্তভোগীরা জানান, সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চলাভাঙ্গা মৌজায় ৫০ একর তিন ফসলি জমি অধিগ্রহন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে এ এলাকার কৃষকদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নাই। পথে বসতে হবে এলাকার গরীব অসহায় সাধারণ কৃষকদের। অনাহারে দিন কাটাবে তাদের। সামান্য জমি নিয়ে গেলে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এছাড়া ওই জমির দাগের পাশেই চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চলাভাঙ্গা জামে মসজিদ, চলাভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, চলাভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসা ও ঐতিহ্যবাহী খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজারসহ অনেক স্থায়ী স্থাপনা রয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মিত হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ গরীব কৃষক। তারা তাদের সামান্য জমিতে শাক সবজিসহ তিনটি ফসল উৎপন্ন করে জীবন নির্বাহ করে থাকেন। এসব গরীব কৃষকদের জমি অধিগ্রহন করা হলে তাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। তিনি আরো বলেন, চলাভাঙ্গা মৌজায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মান না করে একই ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামের টিয়াখালী মৌজায় সরকারী জমিসহ ব্যাপক অনাবাদী জমি রয়েছে সেখানে জনবসতিও কম। সেখানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করলে জনসাধারনের কোন ক্ষতি হবেনা বলে জানান। ভূক্তভোগীরা চলাভাঙ্গা মৌজার পরিবর্তে টিয়াখালী মৌজায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।