2:46 pm , September 26, 2020
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পেয়াঁজের ঝাঁজ দক্ষিণাঞ্চলের চাল সহ ভোজ্য তেলের বাজারেও পড়তে শুরু করেছে। রসুন আর আদার দাম আগে থেকেই বেশী। করোনা সংকটের মধ্যে প্রতিনিয়ত এসব নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে নাকাল হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষ। তবে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে তেমন কোন প্রশাসনিক উদ্যোগও লক্ষনীয় নয়। এখনো টিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা ও ৪২ উপজেলা সহ বরিশাল মহানগরীতে পেয়াঁজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও মুসুর ডাল বিক্রীর গাড়ীর সংখ্যা ২০টি অতিক্রম করতে পরেনি। দেশী পেয়াঁজের বাজার এখনো দক্ষিণাঞ্চলে ৮০ টাকায়ই দাড়িয়ে আছে। আমদানীকারকরা ভারতীয় পেয়াঁজ ৭৫ টাকা কেজি বিক্রী করলেও তার অন্তত ২০ ভাগই পঁচা। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের পরে বাজারের উর্ধ্বমূূখী তৎপড়তা নিয়ন্ত্রনে যেসব প্রশাসনিক তৎপড়তা লক্ষ করা গিয়েছিল, তা স্তিমিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। এরই মধ্যে গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩ থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এখন সর্বনি¤œ মানের চাল বিক্রী হচ্ছে ৪০Ñ৪২ টাকা কেজি। আর মধ্যম-ভাল মানের মিনিকেট চাল ৫৬Ñ৫৮ টাকা। পেয়াঁজ আর চালের পরে আরেক অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য ভোজ্য তেলের দামও বেড়েছে। সুপার সয়াবিন ও সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৯০ টাকা থেকে ১শ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। টিসিবি বরিশাল মহানগরীতে ৫টি সহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলা ও ৪২টি উপজেলায় অতি সীমিতাকারে কিছু পেয়ঁাঁজ, সয়াবিন তেল, চিনি ও মুসুর ডাল বিক্রী করলেও তা বাজারে কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে না। ‘মজুদ পর্যাপ্ত, পেয়াঁজের কোন ঘাটতি নেই’ বলে দাবী করা হলেও মাথাপিছু ১ কেজির বেশী পেয়াজ বিক্রী করছে না রাষ্ট্রীয় এ বানিজ্য সংস্থাটি। ফলে এক কেজি পেয়াঁজ কেনার জন্য টিসিবি’র পিকাপের পেছনে লাইনে দাড়াতে অনেকেরই আগ্রহ নেই। এতেকরে বাজারে কোন প্রভাব ফেলছে না সরকারি এ পেয়াঁজ বিক্রী কার্যক্রম। করোনা সংকটে গত ছয় মাস ধরে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে চাল, ভোজ্য তেল আর পেয়াঁজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সাধারন মানুষের দূর্ভোগকে যথেষ্ঠ বাড়িয়ে তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে যার সাথেই কথা হয়েছে সকলেই হতাশ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।