3:05 pm , September 25, 2020

মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাঈম শরীফ (২১) কে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এসআই সজল আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বহেরাতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নাঈম উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের হানিফ শরীফের পুত্র ও স্থানীয় দেবীপুর ফাজিল মাদ্রাসার আলিম ২য় বর্ষের ছাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ধর্ষিতা মাদরাসা ছাত্রী ও ধর্ষক নাঈম শরীফ সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই-বোন। ধর্ষনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী উপজেলার গুদিঘাটা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী। ধর্ষক খালাতো ভাই এর আগে বিভিন্ন সময় ওই মাদরাসা ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব সহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা তার ভায়রার ছেলে অভিযুক্ত নাঈমের বড় ভাই মহারাজ ও তার মা তহমিনাকে জানালে তারা নাঈমকে সর্তক না করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে নাঈম ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা ইকোপার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে রাতে সেখান থেকে ফিরে ধানীসাফা বাজার সড়কের পাশে মোজাম্মেল হোসেনের (ট্রিপল মার্ডারের ঘর) পরিত্যক্ত ঘরে অবস্থান করে রাত্রি যাপন করে ও ওই মাদরাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ করে। এঘটনায় ধর্ষিতা মাদরাসা ছাত্রীর পিতা অটোচালক বাদী হয়ে বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক নাঈম এর বড় ভাই মো. মহারাজ শরীফ (২৮) কে গ্রেফতার করে। মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল হক জানান, এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা করেছে। এ মামলায় অভিযুক্ত মহারাজকে বুধবার ও নাঈমকে বৃহস্পতিবার রাতে বহেরাতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।