2:58 pm , September 25, 2020
হেলাল উদ্দিন ॥ আতংক ও প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস দেশে ৬ মাস পার করলেও বরিশালের মানুষের সাথে এর পরিচিতি ৫ মাসের। ৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। এরপর আর থেমে থাকেনি। ধীরে ধীরে গোটা বিভাগজুড়ে বিস্তার করতে থাকে মানুষের কাছে মহাপ্রলয়ংকারী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এ ভাইরাস। দিনে দিনে যেমন বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তেমনি বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশের মত স্তব্ধ হয়ে পড়ে বরিশালের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। আতংক আর উৎকন্ঠা নিয়ে মাসের পর মাস অতিবাহিত হবার পর মাস দুয়েক পূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে অফিস আদালত খুলে দেওয়া ও জনমনে ভাইরাস আতংক সহনীয় হয়ে পড়ায় অনেকটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে দক্ষিনের মানুষ। এরপরই মধ্যে খবর আসে করোনার দ্বিতীয় ওয়েব বা তরঙ্গ অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় মৌসুম আসার। এ মাসের শুরুর দিক থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে করোনার দ্বিতীয় ওয়েব আসন্ন নিয়ে সতর্কতা মূলক বক্তব্য প্রদান করলেও গত দুদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন করোনার দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরই সারা দেশের ন্যায় বরিশালের মানুষের মধ্যেও শুরু হয়ে গেছে কিছু দিনের জন্য ভুলে থাকা সেই করোনা আতংক। দ্বিতীয় ওয়েব নিয়ে কৌতুহলী মানুষের মনে উকি দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। কেন কি কারনে করোনার এই দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু। এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে যথারীতি আতংকিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের। বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন,মূলত শীতকালকে ঘিরেই করোনার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর গোড়াপত্তন। শীতে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা দেয়। যা করোনা রোগের জন্য ভয়ের কারন। এছাড়া শীতে পিকনিক বিয়েসহ বিভিন্ন জনসমাগম মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ কারনেও শীতে করোনার সংক্রমন বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর চেয়েও বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে গত শীতেই প্রথম করোনা ভাইরাসের সূচনা ঘটেছিলো। পরামর্শ হিসাবে তিনি বলেন, উপসর্গের বিশেষ কোন পরিবর্তন থাকবে না। তাই যথারীতি পূর্বের পরামর্শই বহাল থাকবে। সবাই কে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি আরো বলেন সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ। ইত মধ্যে বিভাগের সকল সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকার জন্য সব ধরনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পূর্ব ৫ মাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আসন্ন দ্বিতীয় পর্ব মোকাবেলা করা সহজ ও কৌশলীয় হবে বলে জানান তিনি । যে কারনে সংক্রমিত ব্যাক্তিকে আরো উন্নত ও ভাল সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।