2:04 pm , September 24, 2020
ঝালকাঠি আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার বহিস্কারের খবর গুজব
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমী কেকার বহিস্কারের যে খবর প্রচার করা হয়েছে তা গুজব বলে জানা গেছে। যদিও জেলা আওয়ামী লীগে কেকার প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত দুএকজন নেতা সাংবাদিকদের কেকার বহিস্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বললেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান সুরুজ ও তরুন কুমার কর্মকার এ বিষয় কিছুই জানেননা বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয় শারমিন মৌসুমী কেকা জানান, আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে পারি এ কারনে আমার প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। বহিস্কার নাটক তারই একটি অংশ মাত্র। কিন্তু সে নাটক ব্যর্থ হয়েছে। যেসব মিডিয়া এই খবর প্রচার করেছে তারা কেউই আমার বক্তব্য নেয়নি। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, ঐ দিন বৈঠকে যে দুটি এজেন্ডা ছিলো তার মধ্যে কেকা প্রসঙ্গে কোন এজেন্ডে ছিলোনা। হটাৎ অতি উৎসাহী কয়েকজন নেতা কেকার বিষয়টি আলোচনায় আনেন। বৈঠকের পরে তারা সাংবাদিক ডেকে কেকাকে বহিস্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে জানান। এছাড়া এ বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৫/১৬ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেননা। জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের কেকার প্রতিপক্ষ গ্রুপটি পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য একটি সাংবাদিক সংগঠনের দুইজন সাংবাদিক নেতাকে কেকার বিরুদ্ধে নিউজ করার দায়িত্ব দেন। এ দুজন সাংবাদিক এক সময় ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। গত জাতীয় নির্বাচনের সময় দলীয় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এর মধ্যে একজনের পর্যবেক্ষন কার্ড বাতিল হয়েছিলো। এ দুজন সাংবাদিকই তাদের অনুগত সাংবাদিকদের নিয়ে বহিস্কারের সুপারিশের খবরটি ফলাও করে প্রচার করে। তবে কেকাকে বহিস্কারের খবর প্রচার হবার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেকার নেতাকর্মীরা ব্যপক প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং এঠাকে গুজব বলে তারাও প্রচার করেন।