3:34 pm , September 23, 2020
মেয়েদের আর্থ-সামাজিক ভিত্তি সুদৃঢ়করণ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করে সকল প্রকার বৈষম্য দুরীভূত করার সম্মিলিত প্রয়াস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দক্ষিন এশীয় আঞ্চলিক সহযোগীতা পরিষদ (সার্ক) ১৯৯০ এর দশকে কন্যা শিশু দশক হিসাবে ঘোষনা করে। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস।
“আমি বাবা মায়ের শত আদরের মেয়ে
আমি বড় হই সকলের ভালবাসা নিয়েআমার দু চোখে অনেক স্বপ্ন থাকে
আমি পড়ালেখা শিখতে চাই”।
এই থীমসং এর কার্টুন ১৯৯৫ সালে সার্কভুক্ত সকল দেশে একযোগে প্রচারিত হয়। বাংলাদেশে বিটিভি প্রথম প্রচার করে। কার্টুনটি শিশুদের মধ্যে দ্রুত খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৮ সাল থেকে মীনা দিবস উদযাপন শুরু হয়। রেডিওতেও মীনাকার্টুন প্রচারিত হয়। মীনা কার্টুন একটি প্রতিকী চরিত্র। উচ্ছল, প্রানবন্ত, স্হাসী দশ বছরের একটি বালিকা। শিশুদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অধিকার, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে যৌতুক, পরিবারে অসম খাদ্যবন্টনে মীনা চরিত্রটি অত্যন্ত কার্যকরী বার্তা দেয়। এই কার্টুনের অন্য চরিত্র ভাই রাজু এবং পোষা টিয়াপাখি মিঠু। এরাও খুব জনপ্রিয়। সম্প্রতি টঘওঈঊঋ ২উ গববহধ মধসব অহরসধঃরড়হ চালু করেছে।
কন্যা শিশু দশকের উদ্দেশ্যকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে ইউনিসেফ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক প্রচার এবং গনযোগাযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মীনা কেন্দ্রিক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে মীনাকেন্দ্রিক কর্মসূচি সৃজনশীল গণযোগাযোগ কার্যক্রমে পরিনত হয়। এটি মেয়েদের বিষয়ে পূর্বতন ধ্যান ধারনার পরিবর্তন আনতে সফল হয়।
দক্ষিন এশিয়ার দেশসমূহে মেয়ে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য দূর করে শিক্ষাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে মেয়েশিশু ইস্যু আরো জোরদার করে তোলার প্রতীক হিসাবে ইউনিসেফ ও শিশু দশক গৃহীত কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে সার্ক প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস পালনের ঘোষনা দেয়।বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।
মীনা কার্টুন, কমিকস এর বই, শিক্ষা উপকরন, নাটিকা, ও অন্যান্য প্রচারের মাধ্যমে মেয়ে শিশুদের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা সর্বোপরি মেয়ে -ছেলে বৈষম্য বিলোপ করে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা মীনা দিবসের উদ্দেশ্য।