3:30 pm , September 23, 2020
হেলাল উদ্দিন ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ায় গনপূর্তের জমি দখল করে ফের স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। এসব স্থাপনা দোকান হিসাবে ভাড়া দেয়া হয়েছে, বসানো হয়েছে বাজারও। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ এর ভাই গোলাম কবির এসব স্থাপনা তৈরী করে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। আর পজিশন বরাদ্ধ হিসাবে আদায় করেছেন মোটা অংকের টাকা। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান সুরুজ ও তার ভাই কবির। বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছে বরিশাল গনপূর্ত বিভাগ। শীঘ্রই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদসহ পুরো জমিতে কাটা তারের বেড়া দেয়া হবে জানিয়েছেন বরিশাল জনপূর্ত জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জেড়াল্ড অলিভার গুডা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নে তালতলি ব্রীজের নিচ ও এর আশেপাশে অবস্থিত বরিশাল গৃহায়ন ও গনপূর্তের জমিতে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মান করে দোকানপাট ও বাজার বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাতাব হোসেন সুরুজের ভাই তালতলী বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম কবিরের মদদে গড়ে তোলা হয়েছে এসব দোকানপাট ও বাজার। বাজারটি গোলাম কবির নিজেই পরিচালনা করছেন এবং অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা দোকানগুলো তার সহকারী মিরাজ ও কালু নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতিটি দোকানের পজিশন বাবদ নেয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। এমনকি বিশাল স্থান দখল করে গোলাম কবির নিজেই শুরু করেছেন বালু ব্যবসা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বছরের পর বছর ধরে চেয়ারম্যান সুরুজ ও তার ভাই কবিব গনপূর্তের ৯ একরের বেশী জমি দখল করে নিজেরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসাসগ ভাড়া ও পজিশন বানিজ্য করে আসছিলো। বছর খানেক আগে জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বরিশাল গনপূর্ত বিভাগ। তখন সাইন বোর্ড সাটিয়ে দিলেও সীমানা প্রাচীর দিতে সক্ষম হয়নি এ সংস্থাটি। যে কারনে এক বছর যেতে না যেতেই আবার অবৈধ দখলে চলে গেছে অধিকাংশ জমি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাতাব হোসেন সুরুজ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আবার ভাই কিছু দখল করে নাই। খালি জায়গায় বালি রাখছে। কিছু করে থাকলে গনপূর্তের লোক এসে উচ্ছেদ করবে,আপনাদের সমস্যা কি আর বাজার বসাইছে আড়ৎদাররা, আমার ভাই না। অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই গোলাম কবির জানান, আমি বালু রাখিনি। কোনো এক ঠিকাদার বালু রাখছে।
বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা জানান, বছর খানেক আগে আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলাম। কিন্তু বরাদ্ধ না থাকায় তাৎক্ষনিক সীমানা প্রচীর দেয়া সম্ভব হয়নি। তখনই আমরা বরাদ্ধ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। এখনো সে বরাদ্ধ আসেনি। তবে এবার কোন ফান্ড থেকে আপাতত কাটা তারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন এত জমি সব প্রাথমিক ভাবে বেড়া বা সীমানা প্রাচীরৈর আওতায় আনা সম্ভবও না। অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও যতটুকু সম্ভব করা হবে। কোন ভাবেই সরকারী জমি অবৈধ দখল হতে দেয়া হবে না।