কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার - ajkerparibartan.com
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার

3:22 pm , September 22, 2020

কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার একদিনে চার ঘন্টা ব্যবধানে পৃথক দুইটি আবাসিক হোটেল থেকে মোঃ সৌরভ জামিল সোহাগ (৫৫) ও আঃ মানিক (৪৫) নামে দুই পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। জানা যায, ২১ শে সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার দিকে আবাসিক হোটেল সাউথ বাংলা থেকে মোঃ সৌরভ জামিল সোহাগ (৫৫) মৃতদেহ উদ্ধর করা হয়েছে। হোটেল কতৃপক্ষ জানায়, হোটেলের বয় মুসা (২৫) কক্ষ পরিস্কার করতে গিয়ে দরজা খোলা দেখে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে খাটের ওপর শুয়ে থাকা মোঃ সৌরভ জামিল সোহাগের (৫৫) নিথর দেহ পরে থাকতে দেখতে পায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। হোটেল কতৃপক্ষর সুত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৬টার দিকে একটি লাইট ব্লু কালারের প্রাইভেট কারে টুকু নামে একজনকে নিয়ে আবাসিক হোটেল সাউথ বাংলা ১১২ নং কক্ষে ওঠেন তিনি। এর পরদিন সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে টুকু পিঠে একটি ব্যাগ ঝুলিয়ে হোটেলের রুম ত্যাগ করে প্রাইভেট কার নিয়ে বেরিয়ে যান। হোটেলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং রেজিস্টার খাতার ভিত্তিতে পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত মোঃ সৌরভ জামিল সোহাগের ঠিকানা খুলনার দৌলতপুর আঞ্জুমান সড়কে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহভাজন হত্যাকারী টুকু খুলনার একটি আবাসিক হোটেল মালিকের ছেলে। মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড হিসেবেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, বিছানাপত্র এবং লাশের অবস্থা দেখে ধারণা, হত্যাকারী বালিশচাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত এবং ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাবার পর হত্যার প্রকৃত কারন জানা যাবে। মহিপুর থানার ওসি জানান, সোমবার রাতে লাশ উদ্ধারের পর পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে একই দিনে ২১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) আনুমানিক দুপুর ১২ দিকে আবাসিক হোটেল আল্লার দান এর ২০৪ নম্বর কক্ষ থেকে আরেক পর্যটক আঃ মানিক (৪৫) নামে এজনের লাশ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। হোটেল রেজিস্টার দেখে জানা যায় নিহত মানিক চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার সনুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র। হোটেল কর্তৃপক্ষ এমন রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি। তবে হোটেলে রেজিস্টারে দেখা গেছে নিহত মানিকের সাথে লিটন নামে আরও এক ব্যক্তি ওই হোটেলে অবস্থান করছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিক তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT